জনপ্রতিনিধিদের সাথে দেখা করতে মাঠে জনবান্ধব নাসির উদ্দিন খান

সিলেট

সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে না। এককভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ প্রার্থী হননি ফলে একক প্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন খানকে সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন। গত ২৬শে সেপ্টেম্বর তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করার পর থেকে অভিনন্দন জোয়ারে ভাসছেন নাসির। প্রচারণা চালাতে হয়নি তার। যেতে হয়নি ভোটারের দ্বারে দ্বারেও। জেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা ও সাক্ষাৎ হয়নি ভালোভাবে।

তবে নাসিরের ঘনিষ্ঠজনের দাবি; বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় গোটা জেলায় চষে বেড়িয়েছেন। তখন বিশেষ করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের সঙ্গে দেখা ও কথা হয়েছে।

প্রচারণাকালে যা করার প্রয়োজন ছিল তাই তিনি এখন করতে শুরু করেছেন। এবার আর দলীয় নয়, গোটা জেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন তিনি। গত এক সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে এই মতবিনিময় শুরু হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় যাচ্ছেন সিলেটের নতুন নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। উপজেলা সদরে করছেন মতবিনিময়। এ পর্যন্ত তিনি ৬টি উপজেলায় মতবিনিময় করেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলা থেকে শুরু করেন। সর্বশেষ গতকাল হয় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় মতবিনিময় সভা।এরমধ্যে কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারেও মতবিনিময় করেছেন। এসব মতবিনিময় সভায় সব দলের জনপ্রতিনিধিদের দাওয়াত দেয়া হচ্ছে। উপস্থিত হচ্ছেন সবাই।

জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন-জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে কেউ এভাবে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন না। এবার নাসির উদ্দিন খান ব্যতিক্রম। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রতিটি উপজেলায় যাচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করছেন।তার এই মতবিনিময় সভাকে হোমওয়ার্ক হিসেবে দেখছেন তারা।

জানিয়েছেন- তৃণমূলের জনপ্রতিনিধরা এসব মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হয়ে তাদের সুবিধা ও অসুবিধার কথা তুলে ধরছেন। নাসির খান মনোযোগ দিয়েও সেসব কথা শুনছেন। বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়েই মতবিনিময় সভায় বেশি আলোচনা হচ্ছে।

নাসির উদ্দিন খান জানিয়েছেন-জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছি। অন্য কেউ প্রার্থী না হওয়ার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছি। যদি অন্য প্রার্থী থাকতেন তাহলে অবশ্যই আমাকে প্রচারণায় নামতে হতো। যারা ভোটার, তাদের কাছে ছুটে যেতে হতো। এখন এই কাজটিই আমি করছি। জেলার সব জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার তাগিদ অনুভব করার আমি প্রতিটি উপজেলায় যাচ্ছি। যে দলেরই হোক, সব জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি মতবিনিময় করছি।

তিনি জানান- যারা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি তাদের মাধ্যমে উন্নয়ন তৃণমূলে হয়। এ কারণে তাদের গুরুত্ব অনেক।এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী।

এর আগে কানাইঘাট পৌর এলাকার ইসলামিয়া কমিউনিটি সেন্টারে বাদ এশা কানাইঘাট পৌর মেয়র ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দন মানিক, সদস্য এডভোকেট ফখরুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মুবিন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলাহ সাকির, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা বেগম প্রমুখ।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *