স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতীয় শোক দিবস- ২০২২ উপলক্ষে আজ (১৩ আগষ্ট) শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটায় যশোর সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ” আমি মৃত্যুর চেয়ে বড়ো” শিরোনামে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা,বাংলা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ মহানায়ক, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশে দিবসটি জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালিত হয়।
সাধারন সম্পাদক এইচ আর তুহিনের উপস্থাপনায় ও
জেইউজে সভাপতি ফারাজী আহম্মদ সাঈদ বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় একমাত্র আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ, রবীন্দ্র গবেষক ও শিশু শিক্ষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অসিত বরণ ঘোষ।
অধ্যাপক অসিত বরণ ঘোষ বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন প্রকৃত রাষ্ট্র নায়ক।তিনি মুলতঃ কোন দলীয় নেতা নন। এ জন্য তিনি রাষ্ট্রের কল্যাণে অনেক আগেই নির্ধারণ করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা। ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট দেশদ্রোহীরা তাকে হত্যা করায় দেশের উন্নয়ন ও সমতার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। তার কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।শুধু অর্থনৈতিক সমতার ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে আছে। সাম্প্রদায়িকতা একটা মানবিক রাষ্ট্র নির্মানের বড় সমস্যা। এ জন্য ধর্মনিরপেক্ষতা তিনি সংবিধানে অর্ন্তভূক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফারাজী আহম্মদ সাঈদ বুলবুল বলেন – জাতীর পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের এই মাসে আওয়ামী লীগ চালু করেছিলো খিচুড়ী উৎসবের
। এই অভব্য সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার দাবী ছিলো আমাদের। কিন্তু বর্তমানে তা আরো ক্ষতিকারক রূপ নিয়েছে। দোয়া অনুষ্ঠানের নামে শুধু একটি ধর্মের অনুসরনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অবস্থানে নেয়া হচ্ছে রাষ্ট্রকে।মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয় হোক তাতে করো আপত্তি থাকে না। আরো একটা খারাপ সংস্কৃতি চালু হয়ছে তা হলো প্যানা সংস্কৃতি। বঙ্গবন্ধুর ছবির সাথে চোর বাটপাড়রা তাদের ছবি দিয়ে প্যানা টাঙিয়ে বঙ্গবন্ধুর মুর্যালসহ পবিত্র স্থান সমুহ আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত করছে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা চাই, তারা এই অপসংস্কৃতি বন্ধকরার দাবী জানাই। বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করার সংগ্রাম এখন আওয়ামী লীগের প্রধান লড়াই হওয়া প্রয়োজন।
উপস্থিত শ্রোতারা মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে এ আলোচনা অনুষ্ঠান শোনেন এবং সাংবাদিক ইউনিয়নের এই আয়োজন স্রোতাদের প্রশংসা অর্জন করে।