বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম বলেছেন, পবিত্র কোরআনের বাস্তব নমুনা ছিলেন আল্লাহর রাসূল (সা.)। কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসুল (সা.) সম্পর্কে বলেছেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর বিধান অনুসরণ ও সেই রাসূলের আদর্শকে ধারণ করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গড়তে চাই।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট মহানগরীর ৩৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সীরাত মাহফিল ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৩৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ফয়সল আহমদের
সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাব্বির আহমদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন এর এসিট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাহমুদুর রহমান দেলোয়ার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা মতিউর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ থানা আমীর মাওলানা আলাউদ্দিন, মুফতি আলী হায়দার । প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোবিন্দনগর ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন এর সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী।
ফখরুল ইসলাম বলেন, রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৎকালীন সমাজের অশিক্ষিত, বেদুইন জাতির কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহান আদর্শ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার উপর যে বিধান নাযিল হয়েছিল, সেই বিধান ছিলো পবিত্র আল কোরআন। সেই কোরআনের আলো দিয়ে তিনি সেই অন্ধকার যুগের সকল অন্ধকারকে আলোকোজ্জ্বল করে তুলেছিলেন।
কোরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ, পূর্ণাঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুনিয়া এবং আখেরাতের সমস্ত বিধানাবলী এই পবিত্র কোরআনের মধ্যে রয়েছে। একজন মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত যত কিছুর প্রয়োজন আছে, তা এই পবিত্র কুরআন শরীফে আছে। পবিত্র কুরআন যারা অনুসরণ করেছে, যারা এটাকে মেনেছে এবং নিজের বাস্তব জীবনের তাকে গ্রহণ করেছে তারা সোনার মানুষে পরিণত হয়েছেন। তারা আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছেন। এই কোরআন আমাদেরকে সম্মানিত করে।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোটা জীবনটাই ছিল কুরআনের আলোকে।
ফখরুল ইসলাম বলেন, আল্লাহর রাসূল আজকে দুনিয়ায় নেই কিন্তু কোরআন আছে ও রাসুলের সুন্নাহ রয়েছে। আমাদের মধ্যে যারা সেই কুরআন এবং সুন্নাহকে যারা ধারণ করবে, অনুসরণ করবে, তারাই আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের পথে চলতে পারবে। আর যে অনুসরণ করতে পারবে না, ধারণ করতে পারবে না, তারাই বিপথগামী হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সমাজে ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যভিচার অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়ন ও দখলবাজি সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। দেশের মানুষের মধ্যে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছিল। শিক্ষাব্যবস্থায় ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। শিক্ষার নামে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো এর মধ্য দিয়ে আমাদের শিশু কিশোর চরিত্র নষ্ট করা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করেছেন। জাতির ওপর থেকে জগদ্দল পাথরের বোঝা সরিয়ে দিয়েছেন।
শেয়ার করুন