রাজনীতির অলিগলিতে ঘোরার অভিজ্ঞতা তার প্রচুর। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু।এখন মূল দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। জীবনে যখন যে রাজনৈতিক দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তার কাঁধে, তা পালন করেছেন তিনি সফলভাবে।
বলা যায়, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে করতেই আজ তার এমন অবস্থান। রাজনৈতিক সাফল্যের পথ ধরে সবকিছু টিক থাকলে এখন তিনি সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত।
জীবনে প্রথমবার কোন নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাত করে ফেলেছেন তিনি। নিজের মুকুটে সাফল্যের আরেকটি পালক যুক্ত করতে পেরেছেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এ নিয়ে নিজের দল, কর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ দোলা দিলেও তার সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও দেখছেন সচেতন মহল।
আর সেই চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, দলীয় রাজনীতির সাফল্যের ধারা জনপ্রতিনিধি হিসাবেও ধরে রাখতে পারা বা না পারা নিয়ে।
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। এ পদে দলের ভেতর থেকে শক্ত প্রতিদ্বদ্বিতার মুখে পড়তে পারেন বলে অনেকেই মনে করেছিলেন।
বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রার্থী হচ্ছেন- এমন একটা জোরালো গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। প্রার্থী হন নি শফিক চৌধুরী।
আশাঙ্কা ছিল এনামুল হক সর্দারকে নিয়েও। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি নির্বাচনী মাঠে আছেন- এমনটা প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিলেটের একজন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্যের তৎপরতায় এই বাধাও উৎরে যেতে সক্ষম হয়েছেন নাসির খান। প্রার্থী হন নি এলামুল সর্দার।
দলীয় রাজনীতির সাফল্যের পথ ধরে এখন তিনি সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, একজন জনপ্রতিনিধি। নতুন পরিচয়েও কি সফল হবেন নাসির খান?বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবেও তাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে সেটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন সচেতন মহল।
তবে অন্য সবক্ষেত্রের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবেও সফল হবেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দন খান এমনটাই ধারনা তার রাজনৈতিক সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
শেয়ার করুন