সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত ৫ নং ওয়ার্ড থেকে মহিলা সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও জকিগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে সিলেট আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশনে জেলা পরিষদ নির্বাচনের সিনিয়র জেলা অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা এর কাছে নারী সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য, বেগম রোকেয়া পদক প্রাপ্ত ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদকপ্রাপ্ত সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাজনীন হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সালমা বাসিত, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সালমা সুলতানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাুধরী গুণ, সিলেট সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান সাহিদা খাতুন তালুকদার, সিলেট সদর উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান রোটারিয়ান বদরুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী ১৯৯৪ সাল থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে নারীদের অধিকার আদায়ে প্রথম ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সরাসরি নির্বাচন দেন। তখন সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী এলাকার মানুষের বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। সততা, নিষ্টা, কর্মদক্ষতায় ও নিজগুণে দ্বিতীয়বার এলাকার মানুষের ভোটে আবারও ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এবং ততকালীন সময়ে ১২বছর একসাথে ইউপি সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সদস্য এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৮সালে যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা পরিষদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ সৃস্টি করেন ও নির্বাচন দেন। সেই সময় আম প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে চমক লাগিয়ে উপজেলার সকল স্থরের মানুষের দোয়া ও ভালবাসায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এখনো সেই নির্বাচনের চমকের জন্য এলাকার মানুষ আম ওয়ালী (আম প্রতিকে অকল্পনীয় ভোটে নির্বাচিত হন বলে নামে এখনো চিনে।
২০১৭সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জেলা পরিষদের নারীদের সংরক্ষিত আসনের পদ সৃস্টি করেন এবং নির্বাচন দেন। তখন ১৩,১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ড (যথাক্রমে জকিগঞ্জ উপজেলা,কানাইঘাট উপজেলা ও জৈন্তাপুর উপজেলার একাংশ নিয়ে) থেকে ফুটবল প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে সদস্য নির্বাচিত হন। সততা,নিষ্টা,বিনয়ী, মানবতা ও কর্ম দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে বিগত পাচ বছর তিন উপজেলায় মানুষের দোয়া ও নিজের সুনামকে অক্ষুন্ন রেখে কাজ করে গেছেন। তিনিই একমাত্র তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে নিজের কর্মদক্ষতায় প্রতিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আসছেন। তিনি এক প্রস্নের জবাবে বলেন, আমি আমার সাধ্যনুযায়ী উন্নয়ন, মানবতার কল্যাণে কাজ করেছি,মানুষের সুখে দুঃখে পাশে রয়েছি। বিগত প্রায় দুই যুগ সকল নির্বাচনে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমার সততা,মানবিকতা ও জবাবদিহিতার জন্য নির্বাচিত করে আমায় চির খণী বানিয়ে রেখেছেন। আমি দ্বিতীয় বার নির্বাচনে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো আবারো মানব কল্যাণে নিজেকে সম্পৃক্ত করে রাখা ও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। তিনি সকল ভোটার ও জনগনের কাছে দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।
শেয়ার করুন