স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ (৭ আগষ্ট) রবিবার যশোর জেলা কৃষক দলের আয়োজনে লাল দীঘির মাঠে অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অস্বাভাবিক হারে জ্বালানি তেলসহ কৃষিদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও ভোলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের নির্বিচার গুলি চালিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে আজকের এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি শিকদার সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের পরিচাললনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন- বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু,যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন,আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ,মারুফুল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রাশিদা রহমান,জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন বাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান আলী, সহসভাপতি শামসুদ্দিন বাবলু, সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন,কৃষক দল নেতা হাবিবুর রহমান বেগ,মিলন বিশ্বাস,ফুল মিয়া, আজগর আলী,আমিরুল ইসলাম,মিজানুর রহমান কালু, মোস্তফা আনোয়ার, মাহবুবুর রহমান,নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তরা বলেন-জনগণের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে গেছে। তাদের তীব্র গণ আন্দোলনে সরকারের বানের জোয়ারের মত ভেসে যাবে। বিক্ষুব্ধ জনতা পার্শ্ববর্তী দেশের সরকার প্রধানদের মত অবস্থা করে ছাড়বে। জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে তাদের সকল যৌক্তিক দাবি দাবা মেনে নিন। অন্যথায় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।
বিগত দিনে জ্বালানী খাত থেকে অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করার পরও গত ছয় মাসের মধ্যে যখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের মূল্য সর্বনিম্ন তখন দেশের বাজারে অস্বাভাবিক ভাবে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণকে সর্বোচ্চ কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। দাম বৃদ্ধির কারণটা কি? কাদের স্বার্থে দাম বৃদ্ধি করা হলো জনগণ জানতে চায়। উপকরণ সরবরাহের অভাবে অনেক সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে তীব্র সার সংকটের পাশাপাশি দামও কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। সার ডিজেলসহ সকল প্রকার উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক কৃষক উৎপাদনে ব্যয় মেটাতে না পেরে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির প্রতিবাদ চলছে,প্রতিবাদ চলবে। যতদিন পর্যন্ত জনবিরোধী সরকারের পতন না হবে ততদিন প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।