জাকির হোসেন,বরিশাল প্রতিনিধি//
ঝালকাঠিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোড়পূর্বক ইটবাটা প্রস্তুতের কাজ ও গাছপালা কেটে বালু ভরাট করায় সজল তালুকদার ও আক্কাস তালুকদারের বিরুদ্ধে আদালতে ভায়োলেশন মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মোকাম ঝালকাঠি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গোয়ালকান্দা গ্রামের মৃত্যু আঃ রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মোঃ শাহ আলম বাদী হয়ে ৪ জুলাই ৩১/২০২৪ ভায়োলেশন মামলা করেন। দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ২(৩) নিয়ম ও ১৫১ ধারার বিধানমতে তরফসানী দেওয়ানী ১৬০/২০২৪ নং মামলায় ২৫/৫/২৪ দেঃ কাঃ বিঃ অর্ডার ৩৯, রুল -১ ও ১৫১ ধারার বিধান মোতাবেক বাদীর অস্থায়ী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদীদের ১০ দিনের শোকজ আদেশ দেন। আদালতের নির্ধারিত তারিখে বিবাদীরা নিষেধাজ্ঞার আপত্তিপত্র পদান না করিলে ০৩/০৬/২০২৪ তারিখের ঝালকাঠি সহকারী জজ আদালতের বিচারক বাদীর নিষেধাজ্ঞার আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলার বাউকাঠি বজারের আক্কাস তালুকদারের ছেলে সজল তালুকদার ও জবেদ আলীর ছেলে আক্কাস তালুকদারকে নোটিশ সহ ( Status quo) নিষেধাজ্ঞা বা স্থিতিবস্থার আদেশ দিলেও বিবাদীরা আদালতের আদেশ অমান্য করে ২৪/০৬/২৪ তারিখ বাদী পক্ষের নালিশী সম্পত্তির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করিয়া গাছপালা কর্তন করিয়া বালু ভরাট করে বেআইনী ভাবে রাস্তা নির্মান কাজ শুরু করিলে বাদীপক্ষ তপরছানীদের আদালতের আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা স্মরন করাইয়া বে আইনি কার্য হতে বিরত থাকার অনুরোধ করণে তপরছানীপক্ষ আদালতের আদেশ মানিতে বাধ্য নয় বলে দম্ভোক্তি করে বিজ্ঞ আদালত সম্পর্কে বিভিন্ন কটুক্তি করাসহ তাদের বেআইনি ও অবৈধ কাজ যে কোন মূল্যে চালাইয়া যাইবে মর্মে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন। এই মর্মে বাদীপক্ষ অভিযোগ এনে
আক্কাস তালুকদারের ছেলে সজল তালুকদার ও জবেদ আলীর ছেলে আক্কাস তালুকদারকে
বিবাদী করে ঝালকাঠি সহকারী জজ আদালতে
শাহ আলম ( গোয়ালকান্দা, বাউকাঠি, ঝালকাঠি) বাদী হয়ে মোকদ্দমা ৩১/২০২৪ ভায়োলেশন মামলা করেন এবং তরপছানী পক্ষ স্থিতাবস্থা আদেশ অবজ্ঞা ও অমান্য করায় বাদী পক্ষ তাদেরকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করিয়া জেলে প্রেরন আদেশ প্রার্থনা করেন। সূত্র দেওয়ানী মামলা ১৬০/২০২৪।
উল্লেখ্য ঝালকাঠি মোতালক জে এল ৬৫ নং রামপুরা শিবপুর মৌজার এস এ ৬৬ নং খতিয়ানের ৪৪/৪৫/৪৬/৪৭/৪৮/৫০/৫৭ নং দাগে বাদীর মালিকানাধঅন ৫৬.৬ শতাংশ সম্পত্ত্বির মধ্যে বি এস ১৪ নং খতিয়ানের বি এস ৮২ নং দাগেন ৫/৬৭ শতাংশ এবং বি এস ১৩৭ নং খতিয়ানের বি এস ৮৫ নং দাগে ৯ শতাংশ এবং বি এস ১২১ নং খতিয়ানের বি এস ৮৫ নং দাগে ২ শতাংশ একুনে ১৬.৬৭ শতাংশ বাদঅর নামে রেকর্ড প্রস্তুত হইলে ও বাদীর মালিকানাধীন ৪০ শতাংশ সম্পত্ত্বি বি এস ১৭১ নং খতিয়ানের ৬৬/৬৮/৭১/৮১/৮৩/৮৫/৯১ নং দাগে ২৯ শতাংশ এবং বি এস ৩৭ নং খতিয়ানে ৬৭/৭১ নং দাগে ৬ শতাংশ এবং বি এস ১৪০ নং খতিয়ানে ৭০/৮৩/৮৫ নং দাগে ৫ শতাংশ কতক বিবাদির নামে কতক বিবাদীর পুর্ববর্তীর নামে অশুদ্ধ রেকর্ড প্রস্তুত হয়। ঐ ৪০ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলমান। যার কারনে প্রথমে মামলা, স্থিতিবস্থা অতপর ভায়োলেশন মামলা করা হয়।