দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জলাভুমি রামসার প্রকল্পভুক্ত সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে শর্ত সাপেক্ষে আজ বুধবার থেকে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. রায়হান কবির নিবন্ধিত পর্যটকবাহী নৌযান চলাচলে সরকারি নির্দেশনা ও শর্তাবলী দাফতরিক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন।
ইউএনও আরও জানান, শর্তসাপেক্ষে যে সকল নৌযানকে ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান করা হয়েছে কেবলমাত্র তাদেরকে ৩ আগস্ট থেকে তাহিরপুর উপজেলায় পর্যটক বহন করার অনুমতি প্রদান করা হলো।
রেজিস্ট্রেশন/ নিবন্ধন ছাড়া কোন নৌযানে পর্যটক পরিবহন করা হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রেজিস্ট্রেশন/ নিবন্ধনকৃত নৌযানগুলো পর্যটক পরিবহকালে যে ১২ শর্ত মানতে হবে সেসব শতগুলো হলো-
১. নৌযানের নিবন্ধনপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং সার্বক্ষণিক নৌযানে প্রদর্শনের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
২. নিবন্ধনপত্র উপজেলা প্রশাসন, তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ কর্তৃক ঘোষিত সময় অনুযায়ী নবায়ন করতে হবে।
৩.নদী/হাওড়/বিল/পুকুরের পানি ও উন্মক্ত স্থানে কোন ধরনের ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ ফেলা যাবে না।
৪. নৌযানে অবস্থান কালে প্রতিটি নৌযানে সংরক্ষিত ঢাকনাযুক্ত বড় ডাস্টবিনে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর করতে হবে।
৫. নৌযানে লাউডস্পিকার, মাইক প্রভৃতিসহ উচ্চ শব্দ উৎপাদনকারী কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। লাইফ জ্যাকেটসহ যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না।
৬. বিরূপ আবহাওয়া নৌযানে ভ্রমণ করা যাবে না।
৭. নৌযানে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পর্যটক/ যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।
৮. নৌযানে পর্যটকদের জন্য মানসম্মত পরিবেশ তথা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. নৌযানে ভ্রমণের সময় কোন ধরনের অসামাজিক কাজ কিংবা অনৈতিক কাজ, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটায় এরুপ কার্যাবলী ঘটানো যাবে না।
১০. স্থানীয় এলাকাবাসীর ভাবাবেগ এবং সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।
১১. নৌযান পর্যটক পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। এবং
১২. নৌযানে চলাচলের সময় পর্যটকদের মালামাল রক্ষার বিষয়ে এবং দুষ্কৃতিকারীদের বিষয়ে নৌযান মালিকপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান কবির এবিষয়ে বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে নিবন্ধনকৃত পর্যকবাহী নৌযান গুলোকে ১২শর্ত না মানলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা ও নৌযানে নিবন্ধন বাতিল, পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে অভিযুক্ত নৌযানকে পর্যটক পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হবে।
শেয়ার করুন