তীব্র তাপদাহের পর হবিগঞ্জে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। রোববার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে টানা শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন যানবাহনের গ্লাস ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ছাড়া ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি রয়েছে।
জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় মানুষ ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। অনেকের মোটরসাইকেলসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের একাধিক বাসিন্দা জানান, বাতাসের সঙ্গে মাঝারি থেকে বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে পুরাতন অনেক বাসা-বাড়ির টিন একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে- হাওরে প্রায় ২০ শতাংশ ধান এখনো মাঠে রয়েছে। এই শিলা বৃষ্টিতে ধান ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না।
রোববার (৫ মে) বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, দেশের ৮ বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যার মধ্যে সিলেটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।