অবরোধেও ট্রাফিক জ্যামে নাকাল নগরবাসী। অনেক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশকেও দেখা যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় কোনো কোনো পয়েন্টে সচেতন নাগরিকদের কেউকেউ লেগে যাচ্ছেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ বলছে, তারা ব্যস্ত নাশকতা প্রতিরোধে।
বিএনপি ও জামায়াতের ডাকে দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হলেও সিলেটের জন-জীবনে এর তেমন একটা প্রভাব নেই। প্রায় প্রতিদিনই নগরীর রাজপথ এবং অলি-গলিতে পর্যাপ্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে নাগরিক জীবনের স্বাভাবিক ব্যস্ততা।
আর এই ব্যস্ততার কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পয়েন্টে প্রতিদিন দফায় দফায় যানজটে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। যানজট তীব্র হওয়ার আরও কারণ আছে।
নগরীর যেসব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিয়মিত যানবাহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বাভাবিক দিনগুলোতে গলদঘর্ম হতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশকে, অবরোধের দিনগুলোতে ওসব পয়েন্ট থাকছে ট্রাফিক শূণ্য। আর এতে করে যানবাহন চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে।
এমনকি অনেক পয়েন্টে ২০/ ২৫ মিনিট পর্যন্ত থমকে দাঁড়াতে হচ্ছে জরুরী কাজে বের হওয়া নাগরিকদের।
প্রায় প্রতিদিনই নগরীর আম্বরখানা, চৌহাট্টা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, সুবহানীঘাট, উপশহর, হুমায়ুন চত্ত্বর, লামাবাজার, রিকাবিবাজার, টিলাগড়, ওসমানী মেডিকেল রোড, নাইওরপুল, শিবগঞ্জ, জিতু মিয়ার পয়েন্টসহ প্রায় সব পয়েন্টেই ট্রাফিক জ্যামে পড়ে মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।
এদিকে অবরোধ কর্মসূচির দিনগুলোতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশও থাকেনা। তারা ব্যস্ত থাকে নাশকতা প্রতিরোধে, নগরীর বাইরের অন্যান্য রাজপথ বা হাইওয়েতে। তাছাড়া ২৮ অক্টোবর ঢাকায় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টাও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি (ট্রাফিক) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, অবরোধের দিনে অনেক পয়েন্টে পুলশ সদস্য না থাকার কারণ, নাশকতা প্রতিরোধে ব্যস্ত থাকা। সিলেটের বিভিন্ন হাইওয়ে, সড়ক বা মহাসড়কে নাশকতা প্রতিরোধে টহল জোরদার করতে হয়।
পুলিশের নিরাপত্তার বিষয়েও তিনি ইঙ্গিত দেন। বলেন, ইতিপূর্বে ঢাকায় ২৮ অক্টোবর পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। একজন পুলিশ সদস্য মারাও গেছেন। এগুলোও মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
অবরোধের মধ্যেও সিলেট মহানগরীতে এমন ট্রাফিক জ্যামে ত্যাক্ত-বিরক্ত সিলেটের সাধারণ নাগরিকবৃন্দও। তারা বলছেন, সিলেটবাসী বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়েছিলেন আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ী মানিক মিয়া (৪৫)। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ই কিজাত অবরোধ? টাউনো জ্যামর আতায় চলাউ যায়না! মানষে ইতা অবরোধ টবরোধ মানরানা। ইবায় ট্রাফিক নাই। তারা কর্মসূচি না দিলেতো ট্রাফিক থাকলো অনে।
শেয়ার করুন