ডলার সংকটে স্বাভাবিক হয়নি ঋণপত্র, বিড়ম্বনা দূরের উদ্যোগ

জাতীয়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ডলারের উচ্চমূল্য আর সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন আমদানিকারকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, পণ্য আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থায় নজরদারি জোরদার করতে। রমজানের সময় সিন্ডিকেট যেন মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে।

রাজধানীতে কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, কোনোটিই স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কয়েকটা পণ্য আমদানিতে ছাড় দেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু স্থানীয় ব্যাংকগুলো এলসি খোলছে না।
ক্যাবের বাজার পর্যলোচনা বিশেষজ্ঞ কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, রমজানে মাসে বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা দ্বিগুণ বাড়ে। সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা দরকার এ সময়। নিত্যপণ্যের এলসি খোলার বিড়ম্বনা দূর না হলে বাজারে ভোগান্তি বাড়বে। সুযোগ নিতে পারে অসাধু সিন্ডিকেট।

নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলছে, এলসি মার্জিনের ক্ষেত্রে নমনীয় হতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, আমদানি একেবারে থেমে আছে, তা না। দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি দেশে হচ্ছে। আমদানি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের এলসির জন্য মার্জিনকে আমরা ন্যুনতম পর্যায়ে নিয়ে যেতে বলেছি। আর প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের এলসি যেন করা হয়, সে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।
এদিকে, এলসি খুলতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার জন্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *