আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন দু’দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যা বলছেন তার বাস্তবায়ন আমরা দেখব।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আবারও আমেরিকার মদদে বিএনপি উত্তেজনা ছড়াবে, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। এখানে কে আসছে তা নিয়ে ভাবছি না। যাদের প্রেসিডেন্টের কথা ইসরায়েলই শোনে না। আমরা যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার আমরা কাকে ভয় পাব?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাইরে থেকে এসে কেউ বিএনপিকে মদদ দেবে, তাতে বিএনপি আবারও চাঙ্গা হয়ে যাবে এমন পরিস্থিতি নেই। যারা দাপট দেখাবে তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে আছে। এখানে সম্প্রসারিত করবে এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই।
বিএনপি নতুন করে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা আন্দোলন করবে, শরিকদের সঙ্গে বসবে। সে ব্যাপারে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে এগুতে চায় তাহলে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে। কিন্তু তারা যদি অগ্নিসন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামে তাহলে আমরা মোকাবেলা করব।
‘আওয়ামী লীগের অপরাধ আকাশচুম্বি, ক্ষমার অযোগ্য’ বিএনপি নেতাদের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করব না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতাই পালিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের বক্তব্যে তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম পল্টনের ময়দানে একে একে অলিগলি কোথা দিয়ে কোথায় পালাল – এটা বিএনপি। আমরা পালাবো কেন? আমাদের শক্তি দেশের জনগণ। আবারও আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে তাদের পালিয়ে যেতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগের দরকার নেই। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিই যথেষ্ট। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে মস্তবড় ভুল করেছে তার মাশুল তাদের দিতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনে এমপি মন্ত্রী স্বজনদের প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭৩ জন এমপি মনোনয়ন পাননি, ২৫ জন কেবিনেটে বাদ পড়েছেন-শাস্তিটা অনেকভাবেই আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন