ঢাকার সমাবেশে মেয়র আরিফ, যা বললেন সমাবেশ নিয়ে

রাজনীতি

রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছে গোলাপবাগ মাঠে আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির গণসমাবেশ। এ সমাবেশে সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দও উপস্থিত থাকবেন। 

এরই মধ্যে সেখানে গিয়ে পৌঁছেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

শুক্রবার রাতে আরিফুল হক চৌধুরী গোলাপবাগ মাঠ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের শত বাধা-বিপত্তির পরেও শনিবারের গণসমাবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাতের মধ্যেই মাঠ ভরে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন রাস্তায়। আশা করছি- বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে লাখ লাখ নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে শনিবারের গণসমাবেশ সফল ও স্বার্থক করে তুলবেন।

মেয়র আরিফ আরও বলেন- খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে আমাদের ঢাকার নেতৃবৃন্দ এ গণসমাবেশের আয়োজন করেছেন। কিন্তু সমাবেশের আগেই আমাদের মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সরকার জেল পাঠিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর করেও সরকার আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। সমাবেশের একদিন আগেই কানায় কানায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে সমাবেশস্থল।

বিএনটি একটি সুশৃঙ্খল দল উল্লেখ করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত গণসমাবেশগুলোতে আপনারা দেখেছেন, শত বাধাবিপত্তি পেরিয়েও নেতাকর্মীরা এসব সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে, এখানেও করবে। আমরা বিশ্বাস করি- আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই একদিন এই জালিম সরকারের পতন হবে এবং আমাদের কারাব্ন্দী সকল নেতাকর্মীদের মুক্ত করা হবে।

 

জানা গেছে, ঢাকা গণসমাবেশে অংশ নিতে দলে দলে সিলেট থেকে রাজধানীতে গিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাত পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢাকা যাত্রা অব্যাহত ছিল। মঙ্গলবার থেকে এ যাত্রা শুরু হয়।

ঢাকায় অবস্থান করা সিলেট বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে; শনিবারের গণসমাবেশ সফল করতেই তারা ঢাকায় গেছেন। সমাবেশ হবে, এ কারণে তারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে নিরাপদে অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে সিলেট মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী জানিয়েছেন, ঢাকায় অবস্থান করা সিলেটের নেতাকর্মীদের মধ্যে দু’জন    আটক হয়েছেন। এর মধ্যে ৬ ডিসেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে আটক হন সিলেট মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল তালুকদার। আর বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টন থেকে আটক হয়েছিলেন ছাত্রদল নেতা খান রাসেল।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বেগম তাহসিনা রুশদীর লুনা, ড. ইনামুল হক, সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীর, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গৌছ, মৌলভীবাজার সভাপতি নাসের রহমানসহ সিলেট বিভাগের বিএনপি নেতারা ঢাকায় গেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *