তদবির ছাড়া এখানে কোন কাজ হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তদবির ছাড়া আমাদের দেশে কোন কাজ হয় না। সারাক্ষণ তদবির করতে হয়। তদবিরের অভাবে সিলেটের অনেক অনুমোদিত প্রকল্পের কাজও আটকে আছে। এটা একটা বড় সমস্যা।

আরকেটি বড় সমস্যা হলো কিছু অসৎ সরকারি কর্মচারী। সবাই যে অসৎ এমন নয়। তবে অনেকেই অসৎ আছে। যেমন পাসপোর্ট অফিসে যান। দেখবেন মানুষকে অনেক হয়রানি করা হচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় এলে আমরা হয়রানি বন্ধ করবো।

বৃহস্পতিবার সিলেটে নির্বাচনী প্রচার শুরুর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব এসব কথা বলেন। দুপুরে শাহজালাল (র.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ড. মোমন। এসময় সাংবাদিকদের সআথে কথা বলেন তিনি।

আবার নির্বাচিত হলে সিলেটের উন্নয়নে কী করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী বলেন, কাজের তো অভাব নেই। আমার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় দরকার, আমার নদী ভাঙ্গন বন্ধ করা দরকার, নগরে রিং রোড দরকার, ড্রেজিং আরও ভালো করা দরকার, রেলওয়ে লাইন আধুনিকায়ন করা দরকার, এটা অনুমোদন হয়েছে। আমাদের পানি দরকার। সিলেটে একটি ওয়াসা অনুমোদন হয়েছে। সিলেট উন্নয়ন করপোরেশন দরকার। কাজের তোএশষ নেই। সবচেয়ে বড় এখানে কর্মসংস্থান তৈরি করা খুব প্রয়োজন। সিলেটে চাকরির খুব অভাব। এ কারণে অনেক লোক অবৈধভাবে বিদেশ যাচ্ছে। চাকরির অভাব কারণ এখানে কোন কলকারখানা নেই। সিলেটে গ্যাস আছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা গ্যাস পেতে অনেক বিরম্বনা পোহাতে হয়। এই বিরম্বনা আগামীতে দেখতে চাই না। সিলেটের লোক টাকাজমাবে ব্যাংকে কিন্তু ঋণ পায় না। ঋণ ছাড়া কখনো ব্যবসা হয় না। এই সব অনেক কাজ আছে। এগুলো করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে ওয়াইফাই সিটি হয়েছে। কিন্তু যেমনটি আমি চেয়িছি সেরকম হয়নি। আমাদের তারবিহীন শহর গড়ার কাজও আটকে আছে। যদিও এটি অনুমোদিত প্রকল্প।

মূল্যস্ফীতিতে মানুষের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিউইয়র্কে প্রতি ঘণ্টায় মজুরি ১৫ ডলার। তারা যদি বাড়িয়ে ৪৫ ডলার করতে পারে তখন আমরাও তাদের পথ অবলম্বন করব। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে আমেরিকার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।

কোনো সংঘাত চান না দাবি করেন, সিলেট-১ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা সংঘাত চাই না। আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই এবং গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।

নৌকা বাংলার জনগণের আস্থার প্রতীক দাবি করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতির অংশ হতে পারে না। বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্বতার অভাব রয়েছে বলেই তারা ধ্বংসাত্মক ও হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়জুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *