মাঠে নামার আগেই ফেবারিট ছিল লাতিন আমেরিকান পাওয়ার হাউজ ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ আফ্রিকান দেশ তিউনিসিয়া। আর্জেন্টিনা যখন নাইজেরিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিচ্ছিল, তার আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে ব্রাজিল।
তিউনিসিয়ার জালে গুনে গুনে চারবার বল জড়িয়েছে সেলেসাওরা। ৪-১ ব্যবধানের জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে তারা। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে ইজরায়েলের।
গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর ব্রাজিল ভক্তরা শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিলেন, অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে কী তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় ঘটে যাবে তাদের প্রিয় দলের? কিন্তু না, শেষ দুই ম্যাচে ডোমিনিকান রিপাবলিককে ৬-০ এবং নাইজেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের উত্তরসূরীরা।
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিল আবার ম্যাচের প্রথমার্ধেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়। কিন্তু ১০ জনের দল নিয়েও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দাপটের সঙ্গে খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল। সে সঙ্গে ২০১১ সালের পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের পথে এগিয়ে চলছে তারা।
লা প্লাতার এস্টাডিও ইউনিকো দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই তিউনিসিয়ার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে ব্রাজিল। যার ফলশ্রুতিতে ১১তম মিনিটে পেনাল্টি আদায় করে নেয় তারা। এ সময় তিউনিসিয়ার দ্রিয়েস আরাইউ বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা মার্কোস লিওনার্দোকে।
রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নেন মার্কোস লিওনার্দো নিজেই। তার স্পট কিক জড়িয়ে যায় তিউনিসিয়ার জালে। ৩১তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলেও অবদান ছিল মার্কোস লিওনার্দোর। অসাধারণ একটি পাস দেন তিনি ব্রাজিল দলের অধিনায়ক আন্দ্রেস সান্তোসকে। সহয সুযোগ পেয়ে তিনি সেটা কাজে লাগিয়ে দেন।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগে নাটকীয় ঘটনা। পেছন থেকে তিউনিসিয়ার মোহাম্মদ দাওইকে ধক্কা দেয়ার অপরাধে ব্রাজিল ডিফেন্ডার রবার্ট রেনানকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জনের দল ব্রাজিলকে দারুণভাবে চেপে ধরে তিউনিসিয়া। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। অধিকাংশ সময়ই তাদের পায়ে বল থাকছিলো। কিন্তু গোল আদায় করতে পারছিলো না। তবে একবার ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়েও দিয়েছিলো তারা। পরিবর্তিত খেলোয়াড় রাকি আওয়ানি গোল করলে রেফারি ভিএআর দেখে সেটা বাতিল করে দেন।
২-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হতে যাচ্ছিলো। কিন্তু ইনজুরি সময়ে গিয়ে ব্রাজিল আরও দুটি এবং তিউনিসিয়াও একটি গোলের দেখা পায়। ৯০+১ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন ম্যাথিয়াস মার্টিন্স। ৯০+১০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল করেন আন্দ্রে সান্তোস।
৯০+১৩তম মিনিটে তিউনিসিয়ার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মাহমুদ ঘোরবেল। ৩ জুন সান জুয়ানে কোয়ার্টার ফাইনালে ইসরায়েলের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।
শেয়ার করুন