আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বকে তীব্র দাবদাহের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির আবহাওয়া বিষয়ক সংস্থার কর্মকর্তা জন নাইর্ন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলা এই দাবদাহ আরও তীব্র হবে, এজন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
বিশ্বজুড়েই চলছে তীব্র দাবদাহ চলছে। মঙ্গলবার ইউরোপে রেকর্ড ছুঁয়েছে তাপমাত্রা। টানা তৃতীয় দিনের মতো তীব্র গরমের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে গ্রিসের আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা অ্যাথেনস অ্যাক্রোপোলিস। তীব্র গরমে সৃষ্ট দাবানল থেকে বাঁচতে গ্রিসের এক শহর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২০০ শিশুকে। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বিপর্যস্ত ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। স্পেন, ফ্রান্স, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে ৪১ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তীব্র তাপ বিষয়ক সিনিয়র পরামর্শক জন নাইরন বলেন, উত্তর গোলার্ধে তাপমাত্রা ১৯৮০ এর দশকের পর সর্বোচ্চ, যা কমার কোনও লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, দাবদাহ মারাত্মক প্রাকৃতিক দুযোর্গের মধ্যে একটি। প্রতি বছরই তীব্র গরমের কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
উত্তর আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ ও এশিয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করেছেন। সবাইকে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং প্রচুর পানি পান করতে বলেছেন।
জাতিসংঘ জানায়, ক্রমবর্ধমান নগরায়ন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। নাইরন বলেন, আমরা এমন এক যাত্রায় আছি যা আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব রাখতে পারে বলে শঙ্কা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে সংস্থাটি যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কোটিরও বেশি মানুষ তীব্র দাবদাহ পরিস্থিতি পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছিল। অন্যদিক ইউরোপে দ্রুত গতিতে বাড়ছে তাপমাত্রা। ইতালির সিসিলি দ্বীপ ও সারদিনয়া ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চীন এবং জাপানে। চীনের বিভিন্ন শহরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। সেখানে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী বছর বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
শেয়ার করুন