দাফনের ৫৭ দিন পর মরদেহ উত্তোলন

জাতীয়

মাগুরার মহম্মদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ৫৭ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম আহাদ বিশ্বাসের (১৭)। সোমবার দুপুরে মহম্মদপুর সদরের পূর্বনারায়ণপুর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করে মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর ফের দাফন করা হবে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহম্মদপুর থানার ওসি ঠাকুর দাশ মণ্ডল।

 

যদিও সোমবার দুপুরের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত অপর শিক্ষার্থী সুমন শেখের (১৮) মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে অসম্মতি জানায় পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে মহম্মদপুর থানা ভবনের অদূরে গুলিতে নিহত হন আহাদ ও সুমন। নিহতের মধ্যে আহাদের বাড়ি উপজেলা সদরের ব্যাপারীপাড়ায় ও সুমন শেখের বাড়ি উপজেলার বালিদিয়া এলাকায়। এ ঘটনায় আহাদের বাবা মো. ইউনুছ শেখ বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ ও নাম না জানা আসামিদের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

আর নিহত সুমন শেখের বাবা মো. কানু শেখ ১৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মহম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এসব মামলায় অভিযুক্তদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই ছাত্র গুলিতে নিহত হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছিল।

 

দুপুরের পর সুমন শেখের মরদেহ উপজেলার বালিদিয়া কবরস্থান থেকে উত্তোলন করতে গেলে তার বাবা মো. কানু শেখ অসম্মতি জানান। ফলে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান।

 

সুমন শেখের বাবা মো. কানু শেখ বলেন, ‘আমি আমার ছেলের মরদেহ কবর থেকে তুলতে চাই না। আমার ছেলে গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত হয়েছে। কবর থেকে মরদেহ তুললে অমর্যাদা হবে।’

 

মহম্মদপুর থানার ওসি ঠাকুর দাশ মণ্ডল বলেন, ‘হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। একটি উত্তোলন করা হয়েছে, অপরটি নিহতের বাবার বাধায় উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *