ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো ফাহমিদা। জীবনের শুরুতেই দারিদ্রতা আর নানা অসঙ্গতির সঙ্গে নিত্য লড়াই করে আসছে সে। তবে নানা প্রতিকূলতার সাথে নিরন্তর সংগ্রাম করেও জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছে হাকালুকি হাওর পারের শিক্ষার্থী ফাহমিদা আক্তার। ভাল ফলাফলে দু’চোখ ভরা উচ্ছ্বাস থাকলেও উচ্চ শিক্ষার ব্যয় কিভাবে মিটবে সে দুশ্চিন্তাও প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরছে ফাহমিদা ও তার পরিবারকে। তবে সব প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সফল হওয়ার চেষ্টা ফাহমিদার। ভবিষৎতে আরো ভালো ফলাফল করে দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হতে চায় এ মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু আর্থিক সংকটে তার ওই স্বপ্ন কি পূরণ হবে?শিক্ষক, বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠী আর শুভাকাঙ্খীদের সহমর্মিতা ও পরামর্শ তার সাফল্যের পেছনে প্রেরণার বাতিঘর হিসাবে ভূমিকা রেখেছে।
ফাহমিদা আক্তার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তির্ণ হয়েছে। বাবা পাখি মিয়া ওমান প্রবাসী। মা সেলিনা বেগম গৃহীনি। ১ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে ফাহমিদা সবার বড়। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের দক্ষিণ পাশের ভুকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভুকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা ফাহমিদা। দারিদ্রতা, নানা প্রতিকূলতা ও প্রভল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফাহমিদা তার এ সাফল্য অর্জন করেছে। সে লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়ে হাকালুকি হাওর পারের অবহেলিত মানুষের জীবনমানের এবং দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চায়। ফাহমিদা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করছে।
এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুর রহমান বলেন, ফাহমিদা লেখাপড়ায় অত্যান্ত আন্তরিক। শিক্ষকদের সহযোগীতা এবং নিজের প্রচেষ্টায় সে এ ফলালফ করেছে। আগামীতে সে কারো সহযোগীতা ফেলে আরও এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
শেয়ার করুন