জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (২৬ মার্চ) সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভার স্মৃতিসৌধে সরকারপ্রধানের শ্রদ্ধা শেষে পরিদর্শন বইতে তিনি এই প্রত্যয়ের উল্লেখ করেন।
পরিদর্শন বইতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাই মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের। হানাদার পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাই আমার শ্রদ্ধা।”
প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “বেদনা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করছি আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং আমার তিন ভাই ভ্রাতৃবধূসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে যারা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাদের।”
স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, “আজকের এই দিনে আমি প্রত্যয় করি যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব। ইনশাআল্লাহ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।”
এরআগে মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান।
ঢাকার অদূরে সাভারে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকেরা স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
শেয়ার করুন