দালালের মাধ্যমে সৌদি গিয়েছিলেন তরুণী, জোরপূর্বক করানো হচ্ছে অবৈধ কাজ

সিলেট

ডেস্ক রিপোর্টঃ সংসারে সচ্ছলতা আনতে বিদেশে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ইয়াসমিন (১৯) নামে হবিগঞ্জ মাধবপুরের এক তরুণী। সৌদি আরবের রিয়াদে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধারের জন্য পরিবারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন ওই তরুণী।

ইয়াসমিনকে উদ্ধারের জন্য গত রোববার (২ অক্টোবর) প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তার পরিবার।

ভুক্তভোগী ইয়াসমিন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কমলপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুছ মিয়ার মেয়ে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে যান তিনি। তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ঢাকার শান ওভারসিস নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি।

ইয়াসমিনের বাবা আবদুল কুদ্দুছ মিয়া অভিযোগ করেন, চুনারুঘাট উপজেলার আবুল কাশেম নামে এক দালালের মাধ্যমে ইয়াসমিনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। সেখানে তার গৃহপরিচারিকার কাজ করার কথা। কিন্তু তার মেয়েকে এ কাজ না দিয়ে বিভিন্ন অবৈধ কাজ করানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাকে শারীরিকভাবেও নির্যাতন করছে এ চক্রটি। তিনি জানান, তার মেয়ে তাকে ইমুতে ফোন করে নির্যাতনের ব্যাপারে অবগত করে উদ্ধারের জন্য আকুতি জানিয়েছে। এরপর থেকে তারা মারাত্মক উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।

তিনি জানান, মেয়ের ফোন পাওয়ার পর তিনি দালাল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু সে জানায় বিদেশে পাঠানো পর্যন্ত দায়িত্ব তার, ফিরিয়ে আনা তার দায়িত্ব না। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইয়াসমিনের পরিবার। ইয়াসমিনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে রোববার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। অভিযুক্ত দালাল কাশেম ও ইয়াসমিনের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি।

তিনি বলেন, কাশেমকে আমরা চাপ দিয়েছি মেয়েটিকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে। সে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মেয়েটিকে ফিরিয়ে না আনলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *