দিরাইয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

সুনামগঞ্জ

দিরাই সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সিরিয়াল নিয়ে বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সময় একটি সিএনজি-চালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গছিয়া ও জকিনগর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, আজ সকালে দিরাই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিএনজির সিরিয়াল নিয়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় জকিনগর গ্রামের মন মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও গচিয়া গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে সোহাগের সাথে। এরই জের ধরে সোহাগের সহোদর সোহান মিয়া সিএনজি নিয়ে দিরাই থেকে গছিয়া যাবার পথে জকিনগর গ্রামে আসলে আনোয়ার হোসেনের লোকজন সোহান মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রাম গছিয়া ও জকিনগর গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুরমা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ৫৪ জন আহত হন। আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

উভয় গ্রামের আহতরা হলেন ফয়জুল হক ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০)মৃত ওয়াইদ উল্লার ছেলে এরশাদ মিয়া (৫৬) মানউল্লার ছেলে রুবেল মিয়া (৩০) কাজল মিয়া ছেলে আলমগীর (২২) হাসান মিয়ার ছেলে আমির হোসেন(৩৮) সুলতানা মিয়ার ছেলে মাহবুব মিয়া(২১) সৈয়দুর মিয়া(১৮)আক্কল আলীর ছেলে সুহান মিয়া(৩২) সুতান মিয়ার ছেলে সাহিদুজ্জান (১৮)সহিদুল হাসান(৩০) মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান, আব্দুর রুপ মিয়ার ছেলে মিটু মিয়া(২৩) আওয়াল মিয়ার ছেলে জয়নুল মিয়া(৩০) হাবিবুর রহমানর ছেলে সাকিল মিয়া(১৭) সোনা উল্লা তালুকদারের ছেলে এপতাজ তালুকদার (২১) আসিক মিয়ার ছেলে লিপন মিয়া(৪০) আকিল মাহমুদের ছেলে আজিব মাহমুদ (৩৬) অবস্থায় ১৭ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

দিরাই থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক দিরাই থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।অভিযোগ প্রাপ্তির সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *