ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার
দুই বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশের খাঁচায় আটক হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথের জসিম উদ্দিন। সে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের কালিটেকা গ্রামের (হাল সাকিন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানার বড় কাপন) আব্দুল রহিমের পুত্র।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বিশ্বনাথ পৌরসভার পুরান বাজার এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করে থানার এএসআই রেদুওয়ান মিয়ার নেতৃত্বাধীন একদল পুলিশ। ২০২০ সালে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট ও আমল গ্রহনকারী আদালত নং ০৩-এ ২০১৮ ইং সনের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ দিলারা বেগম।
জসিম উদ্দিনকে প্রধান অভিযুক্ত করে দায়ের করা দিলারা বেগমের মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- জসিমের মা নবিজান বিবি ও বোন সুলতানা বেগম।
মামলা দায়েরের সময় বাদী দিলারা বেগম তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করে ছিলেন- ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই গ্রেপ্তারকৃত জসিম উদ্দিনের সাথে তার (দিলারা) বিবাহ হয়। বিয়ের পর জসিমের ঔরষে ২০১৯ সালের ২০ জুলাই ঠোঁট কাটা অবস্থায় ‘আলিফা আক্তার মিম’ নামে তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর ব্যবসা করার জন্য জসিম বাদীর পিত্রালয় থেকে যৌতুক সরুপ ২ লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য মামলার বাদী দিলারাকে চাপ দিতে শুরু করে। বাদী পিত্রালয় থেকে জসিমকে টাকা এনে দিতে অনিহা প্রকাশ করলে গ্রেপ্তারকৃত জসিম বাদী দিলারাকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এর এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট অভিযুক্তরা পরস্পরের শলাপরামর্শে গালিগালাজ করে শিশু সন্তানসহ বাদীকে এক কাপড়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে বাদী নিজের পিত্রালয়ে চলে আসেন। এরপর মুরব্বীদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য আপোষ-মিমাংশার অনেক চেষ্টা হলেও যৌতুকের ২ লাখ টাকা ছাড়া সমাধান সম্ভব নয় বলে জানান অভিযুক্তরা।
বিশ্বনাথ পুরাণ বাজার এলাকা থেকে পলাতক জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার এএসআই রেদুওয়ান মিয়া।
শেয়ার করুন