দুই রানের জন্য ইতিহাস গড়া হলো না রিশাদের

খেলাধুলা

এবার দীর্ঘ তিন বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে লঙ্কানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সাগরিকায় ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের ৮৪ রানের ইনিংসে ও রিশাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৮ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

এদিন ইনিংসের ৩৭ তম ওভারে ক্রিজে নামেন রিশাদ হোসেন। তখন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান হাতে ছিল মাত্র ৪ উইকেট। দলের বিপর্যয়ে যেন অন্যরকম এক রিশাদ হোসেনকে দেখা গেল। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই হাসারাঙ্গাকে উড়িয়ে মিড উইকেটে হাঁকালেন বিশাল এক ছক্কা। সেই যে শুরু, তারপর আর রিশাদকে থামাতে পারেনি লঙ্কান বোলাররা।

এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ঝড়টা অবশ্য মূলত গেছে হাসারাঙ্গার ওপর দিয়ে। হাসারাঙ্গার করা সেই ওভারে আরো দুই বাউন্ডারি মেরে মোট ১৬ রান নেন রিশাদ। তাতেই বাংলাদেশের জয়ের দৃশ্যপট তৈরি হয়ে যায়। এক ওভার বাদে আবার বল করতে আসেন হাসারাঙ্গা। নিজে লেগ স্পিনার, তাই হয়তো প্রতিপক্ষের লেগ স্পিনারকে আরো বেশি ভালো বোঝেন রিশাদ। যার প্রমাণ দেখা গেল ৪০তম ওভারেই।

এদিকে হাসারাঙ্গার করা সেই ওভারে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৪ রান নেন রিশাদ। আর তাতেই বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটি গড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যায় এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের তখন জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৩ রান। ১৮ বলে ৪৮ রান করা রিশাদ তখন দাঁড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০০৫ সালে করা ২১ বলে ফিফটির রেকর্ড ভাঙার আশায়।

তবে তা আর সম্ভব হয়নি, পরের ওভারে মুশফিক প্রথম বল ডিফেন্স করে পরের বলে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করলেও তা আউটসাইড এজ হয়ে বাউন্ডারিতে চলে যায়। দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড না গড়তে পারলেও ১৮ বলে ৪৮ রান ও বল হাতে ৫১ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন রিশাদ হোসেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *