রাসেল আহমদ, (গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি)
মোগলাবাজারে দুবাইয়ে চাকুরীর আশ্বাস দেখিয়ে এক যুবকের প্রায় ৪লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মানবপাচারকারী সদস্যের এক প্রতারক।
ভোক্তভুগীর বরাত দিয়ে জানা যায় অভিযুক্ত গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ জিতু মিয়ার ছেলে মোঃ হাসান আহমদ(৩০) গেল বছরে ২১অক্টোবর তারিখে দুবাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলে চাকুরীর আশ্বাস দেখিয়ে নানা কৌশল অবলম্বন করে ৩লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় পরে চলতি বছরের ১৪ফেব্রুয়ারী ভুক্তভোগী দুবাই যাওয়ার পর কাজ না দিয়ে একঘরে আটক করে রাখে এবং নানা নীপিড়ন চালায়।
এক পর্যায়ে এ অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে দেশে ফেরত আসেন তিনি এবং আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারের প্রেক্ষিতে জানা যায়, গেল বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে ৩লাখ ৮০হাজার টাকার বিনিময়ে দুবাইয়ের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরীর আশ্বাসে চুক্তিবদ্ধ হন ভুক্তভোগী সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন ছত্রিঘর গ্রামের মৃত আব্দুল মছব্বিরের ছেলে মোঃ আব্দুল কাদির (৪৫)।
পরে আলাদা আলাদা তারিখে মোট ৩লাখ ৮০ হাজার টাকা অভিযুক্ত হাসানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
একপর্যায়ে থাকাখাওয়ার নিশ্চয়তা ও ২বছর মেয়াদে ভিসার আস্বাসে চলতি বছরের ১৪ফেব্রুয়ারী দুবাই যান আব্দুল কাদির। সেখানে যাওয়ার পর কথা কাজে মিল না পাওয়া এবং নানামুখি অত্যাচার ও নিপীড়নের সম্মুখীন হন ভুক্তভোগী।
দেশ থেকে আর্থিক সহযোগীতা নিয়ে কোনোরকমে ৫মাস সেখানে অবস্থান করেন তিনি।
এমতাবস্থায় অভিযুক্ত হাসানকে বার বার কাজের তাগিদ দেওয়া হলেও নানাভাবে কথা এড়িয়ে যায় সে এবং একপর্যায়ে হুমকি ধামকিও দিতে থাকে সে।
পরে কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে ১১জুলাই দেশে ফেরত আসেন কাদির।
দেশে আসার পর সর্বশেষ ২১ আগষ্ট ভোক্তভুগী আব্দুল কাদির আদালতের মানবপাচার অপরাধ ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- ৫০/২২)।
আদলত অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে সিলেট কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
ভোক্তভুগী আব্দুল কাদির জানান, দুবাই যাওয়ার পর এনং দেশে ফেরত আসার পর অভিযুক্ত ব্যাক্তির ব্যাপারে খোজ নিয়ে জানতে পারি সে শুধু মাত্র আমার সাথেই নয়।
মিথ্যা আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এমন অনেক লোকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছে সে।
এখনই তাকে থামানো না গেলে আরো কত পরিবার যে নিঃস্ব হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।