অভিযোগের পরও ক্ষমতাধর স্বাস্থ্য সহকারী(বর্তমান ষ্টোরকিপার) সুলেমান আহমদ তার পদে বহাল

সুনামগঞ্জ

সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ

ছাতকের ঠিকানায় নিয়োগ প্রাপ্ত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য সহকারী(বর্তমান ষ্টোরকিপার) সুলেমান আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। অনিয়ম-দুর্নীতি, সিন্ডিকেট বানিজ্য ও স্বজনপ্রীতিসহ হাসপাতালে সকল অপকর্মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিনিময়ে তিনি অবৈধভাবে উপার্জন করছেন লক্ষ-লক্ষ টাকা। বিগত দিনে সুলেমান আহমদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ হলেও অদৃশ্য ক্ষমতাধর স্বাস্থ্য সহকারী(বর্তমান ষ্টোরকিপার) সুলেমান আহমদ তার স্ব পদে বহাল রয়েছেন। বিভিন্ন অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভুয়া নাগরিক সনদপত্র গ্রহন করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যোগদান করেন ২০০৪ সালে। অথচ তার মুল ঠিকানা হল সুনামগঞ্জ পৌরসভার মল্লিকপুর এলাকায়। পরবর্তিতে কুট কৌশল অবলম্বন করে সরকারী বিভিন্ন জিও এবং নিয়োগ বিধি লংঘনের মাধ্যমে ২০১৬ সালে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ষ্টোরকিপার পদে পদায়িত হন। কিন্তু এখানেই থেমে নেই তিনি। ২০১৮ সালে প্রথম দিকেই তিনি তার মুল লক্ষে পৌছে যান। সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের ষ্টোরের দায়িত্ব পেয়ে যান সুলেমান আহমদ। এরপর তাকে আর পিছনের দিকে তাকাতে হয়নি। তার অনিয়ম-দূর্নীতি ও টেন্ডার বানিজ্যের হাত তিনি চতুর্দিকে প্রসারিত করতে থাকেন। অনিয়ম-দুর্ণীতির স্বর্গরাজ্যে পদার্পন করে সুলেমান আহমদ হাসপাতালের রোগীর খাবার সরবরাহ, এমএসআর সামগ্রি ক্রয়, যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ক্রয়-বিক্রয়ের স্বঘোষিত ঠিকাদারে পরিনত হন তিনি। এক পর্যায়ে হাসপাতালের সব নিয়ন্ত্রন চলে আসে তার হাতে। আউটসোর্সিং নিয়োগের ক্ষেত্রে লক্ষ-লক্ষ টাকার বিনিময়ে তার নিজস্ব ও এলাকার লোকজনদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কয়েক বছরেই তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকুরী করে সুলমান আহমদ কিভাবে বিপুল পরিমান অর্থ-সম্পদ, বাড়ি-গাড়ি মালিক হলেন- এ প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে শহর জুড়ে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক স্বাস্থ্য সহকারী সুলেমান আহমদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন এবং তাকে স্ব পদে দায়িত্ব পালনের নির্দেশসহ জেলা সদর হাসপাতালকে দুর্নীতি মুক্ত করার দাবী জানিয়ে ২০২১ সালে ১৭ আগষ্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহা পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। এ ছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে জেলা সদর হাসপাতালে আহবানকৃত এমএসআর এবং পণ্য সরবরাহ দুর্নীতি, লুটপাট ও সিন্ডিকেট করে নিয়ম বর্হিভুতভাবে কাজ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে সুলেমান আহমদ ও হাসপাতালের অফিস সহকারী ছমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে চলতি বছরের ২১ জুলাই সুনামগঞ্জের স্থানীয় ঠিকাদারগণ স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রদান করা হয়। ##

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *