৩ দিনের হিট অ্যালার্টের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী তিন দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম; বরং এটি বাড়তে পারে। আসলে এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ থাকবে। তবে সময়ভেদে এর মাত্রা কমবেশি হতে পারে। পাশাপাশি জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে।
কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে গণ্য করা হয়।
এ মাসে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেননি এই আবহাওয়াবিদ। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে গেলে তখন তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। গত বছরের ১৭ এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা হয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল গতবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এপ্রিল দেশের উষ্ণতম মাস। এ মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিদিন তা তুলে ধরে। গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল এই ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে শুধু নেত্রকোনা ও সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। সিলেটে তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, গতকাল সেখানে বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটেই—১৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগসহ দেশের যেসব অঞ্চল দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহের বাইরে আছে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ। আজও এই দুই বিভাগে এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক।
তবে এই গরমের মধ্যেও কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সে অনুযায়ী কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শেয়ার করুন