আবুল কাশেম রুমন,স্টাফ রিপোর্টার: স্কিলস ফর এমপ্লমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ) প্রকল্পের আওতায় দেশ জুড়ে টিটিসি গুলোতে অতিথি প্রশিক্ষকদের ৬ মাস ধরে বেতন বন্ধ হওয়াতে অনাহারে জীবন-যাপন করছেন প্রশিক্ষকরা। অর্থের অভাবে অনেক প্রশিক্ষক ক্ষুদ্র ঋনে বোঝা বহন করতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সূত্রে জানা যায়, বিএমএটির তত্ত্ববধানে দেশের বেশ কয়েকটি টিটিসিতে স্কিলস ফর এমপ্লমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ) প্রকল্পের শিক্ষামূলক ফ্রি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে, এতে করে প্রতিটি টিটিসিতে ট্রেড অনুসারে প্রত্যেক ট্রেডে একজন করে অতিথি প্রশিক্ষণ নিয়োগ প্রদান করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে সেইপ সুনামের সহিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করে আসলেও হঠাৎ করে গত বছরের ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। বেতন বন্ধ হওয়াতে প্রথম দিকে প্রশিক্ষকরা ২/১ মাস নিজে থেকে মানিয়ে নিলেও দীর্ঘ কয়েক মাস হওয়াতে মাথায় জটলা বেধে। এতে করে তারা ঋনের দিকে হাত বাড়াতে থাকনে অনেক প্রশিক্ষক, অনেকে আবার বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ১/২ লাখ টাকা লোন করে নিয়েছেন, বেতনের আশায় লোনের টাকা শোধ করতে না পারায় মহা বিপাকে পড়তে হয়েছে। তবে বেতন ছাড়া এ প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন টিটিসিতে সেইপের ক্লাস পরিচালনা করে সুনাম কুড়ঁছেন টিটিসিতে। বিনাবেতন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও অনেক টিটিসির অধ্যক্ষ নিজের তহবিহল থেকে কিছু টাকা দিয়ে সহযোগীতা করছেন। এমন এক দৃষ্টান্তের উদাহরণ দিয়েছেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে তার মধ্যে মানবিক সহযোগীতায় এগিয়ে আশার আশ^াস প্রদান করেন সিলেট সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি’র) অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ নাহিদ নিয়াজ। জানা যায়, তিনির টিটিসিতে কর্মরত সকল অতিথি প্রশিক্ষককে নিজের তহবিল থেকে ১৫ হাজার টাকা রমজানের হাত খরচ চলানোর জন্য আশ^াস প্রদান করেন। তিনির এ সিদ্ধান্ত থেকে ধণ্যবাদ জানান, সিলেট টিটিসির অতিথি প্রশিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের থাকা দায়িত্বে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রাইভেট জয়েন্ট সেক্রেটারী ও পাবলিক জয়েন্ট সেক্রেটারী আমাদের প্রতিবেদকে জানান, সরকারী ভাবে কিছু প্রকল্পের ব্যয় কমাতে প্রায় ৫০% বরাদ্দ বন্ধ ছিলো, তার মধ্যে আমাদের এ প্রকল্প পড়ে গিয়ে ছিলো, তখন প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিটি দিয়ে জানিয়েছি যে, এটি শিক্ষামূলক প্রকল্প তখন বিষয়টি আমলে নিয়ে এ জটলা থেকে দায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন চলতি মাসের আগামী সপ্তাহে বিএমএটিকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাদের মাধ্যমে সকল টিটিসির সমস্যার সমাধান করা হবে। অপর এক বক্তব্যে তারা জানান, এ প্রকল্পের আওতায় যদি কোন টিটিসি বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রশিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে রাখেন এবং সুনির্দিষ্ট অভিয়োগ প্রমাণিত হয়, এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশ^াস প্রদান করেন।