দোয়ারাবাজারে কৃষক ফারুক মিয়ার সংবাদ সম্মেলন

সুনামগঞ্জ

 

‘ভূমিখেকো নারী সামছুন নাহারের অত্যচারে অতিষ্ঠ নদী ভাঙনে ভিটেমাটিহীন ১৮ কৃষক পরিবার’

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নিরীহ কৃষক ফারুক মিয়ার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, উপজেলা সদরের মুরাদপুর গ্রামের সামছুন নাহার ফুলছেরা বিবি একজন ভূমিখেকো নারী। উপজেলা সদরের একশ্রেণির প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে সামছুন নাহার ও তার মেয়েদের অত্যচারে অতিষ্ঠ এখন নদী ভাঙনে ভিটেমাটিহীন ১৮টি অসহায় পরিবার। আওয়ামী সরকারের আমলে ওই নারী উপজেলা সদরে খাসজমি দখল করে বিক্রি এবং ভুয়া দলিল ও দাগ চিহ্নিত করে অন্যের সহায় সম্পত্তি দখলে নিতে মামলা মোকদ্দমাসহ নানাভাবে নিরীহ মানুষকে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৭ সালে সুরমা নদী ভাঙনে মুরাদপুর গ্রামের ১৮ টি পরিবার ভিটেমাটিহীন হয়ে পড়লে একই গ্রামের কালিউড়ি নদীর তীর ঘেঁষা বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই মাথাগোঁজার ঠাঁই হয় তাদের। পরবর্তীতে ওই ভূমির মালিকানা প্রকাশ হলে দোহালিয়া পানাইল এলাকার সিতার উদ্দিনের কাছ থেকে মোট ৩৫ শতক ভূমির মালিকানা লাভ করেন ১৮ টি পরিবার। সে থেকে তারা ভোগদখলসহ বসতভিটা করে বসবাস করে আসছেন। বিগত সরকারের আমলে সরকার দলীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে ওই নারী ভূমি মালিকানা স্বত্ত নেই এমন জমি বেচাকেনাসহ সরকারি খাস ভূমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। ১৮ অসহায় পরিবারসহ নিরীহ মানুষকে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে নানাভাবে হয়রানি করে। তার এক মেয়ে সেবিনা ইয়ামিন উপজেলা সদরে খাস জমি দখল করে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরও তারা থেমে নেই, অন্যের জমি দখল করে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে আসছেন। ভূমিখেকো ওই নারীর ষড়যন্ত্র থেকে আমরা মুক্তি চাই এবং প্রতিকারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কমল কান্ত দে, আখতার হোসেন, শাহ আলম, মেহেদী হাসানসহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *