সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্বামীর নির্যাতনে আহত গৃহবধূ সাজনা বেগমের (৪২) মৃত্যু হয়েছে।
রোববার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এ সময় হাসপাতাল থেকে পালানোর সময় ঘাতক স্বামী সুলতান মিয়াকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ফুলকারগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে সুলতান মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বাউভোগলী গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর মেয়ে সাজনা বেগমের বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাজনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন।
গত বুধবার পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজনের বেধড়ক মারপিটে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পান গৃহবধূ সাজনা। এরপর তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে অস্ত্রোপচার শেষে সিলেটের উইমেন্স মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে রেফার্ড করা হলে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী সুলতান মিয়া হাসপাতাল থেকে পালানোর সময় নিহতের স্বজনরা তাকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন নিহতের ভাই আছলাম আলী।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন