ধর্মপাশায় প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষুব্ধ সহকারী শিক্ষিকা

সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব পালনে অবহেলায় এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। সোমবার (০৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদরের কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাকেশ চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ লিখিত অভিযোগটি করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এর বাছাইয়ের লক্ষ্যে গেল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা পর্যায়ে এসএমসির শ্রেষ্ঠ সভাপতি, শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার সদর

ইউনিয়নের কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পদে জহুরা খাতুন কর্মরত রয়েছেন। ২০১৯ ও ২০২২ সালে তিনি ধর্মপাশা উপজেলার শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। করোনাকালীন সময়ে ধর্মপাশা অনলাইন স্কুল ও সরকার কর্তৃক ঘরে বসে শিখি ফেসবুক ফেইজ খুলে তিনি প্রতিদিন লাইভ ক্লাস, গুগল মিটে শিক্ষার্থীদের পড়া দেওয়া ও আদায় করা এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যকর গ্রহণ করায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ ও তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম আব্দুল রহমান তাঁকে করোনাযোদ্ধা শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ সনদপত্র প্রদান করেন।

সহকারী শিক্ষক জহুরা খাতুন দাবি করেন, ‘আমি প্রধান শিক্ষক রাকেশ চন্দ্র পাল স্যারের হীন ষড়যন্ত্রে শিকার হওয়ার কারণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারিনি। আমি এ নিয়ে সুবিচার চেয়ে ইউএনওর স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’

প্রধান শিক্ষক রাকেশ চন্দ্র পাল বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা পদক বাছাই প্রক্রিয়ার বিষয়টি সহকারী শিক্ষকদের জানাতে হবে এ ধরণের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

ধর্মপাশা সদর ক্লাস্টারের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রক্রিয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষকদেরকে অবগত করার কথা। তিনি না জানিয়ে থাকলে কাজটি ঠিক করেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির তদন্ত করে এ ব্যাপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগটি পাঠিয়েছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *