
তিনি রাজনীতির মাঠে ছিলেন এবং আছেন। দলীয় সব ধরনের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতেন। আন্দোলন সংগ্রামেও ছিলেন কর্মীদের পাশে, মিছিল সমাবেশেও ছিলেন সক্রিয়। তবে এই প্রথম মর্যাদার আসন সিলেট-১ এ প্রচারণা শুরু করলেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মালিক।
সিলেট-১ আসন (নগর-সদর) সারাদেশে বিশেষ মর্যাদার একটি আসন। জনশ্রæতি রয়েছে, এ আসনে যে দল জয়লাভ করে, সরকারও তারাই গঠন করে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভেতরে এই আসনটির মনোনয়ন নিয়ে কিছুটা হলেও টানাটানি ছিল। বিশেষ করে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই আসনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণাও করেছিলেন।
এর বিপরীতে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ছিলেন অনেকটাই মৌণ। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রার্থী হিসাবে প্রচারণার কোনো খবর শোনা যায়নি। তবে দলীয় সব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতেন, বক্তব্য রাখতেন। দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফার পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন নিয়মিত।
তার পিতা খন্দকার আব্দুল মালিকও একসময় সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন (১৯৯১)। আর তাই দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সচেতন মহল, সবার ধারনা ছিল এ আসন থেকে বিএনপির ধানের শিষের প্রার্থী হচ্ছেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির-ই।
এখনো বিএনপির দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। তবে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে প্রকাশ্যে এই আসনের জন্য ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় নামতে দেখে সচেতন মহল বুঝে গিয়েছেন, গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন তিনি। আর তাই প্রকাশ্যে প্রচারণাও শুরু।
শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে দোয়া মাহফিল শেষে তিনি ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন।
এসময় তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে সাধারণ মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। মানুষ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়ে ফেলেছেন। এখন সেই মালিকানা গণতান্ত্রিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পথে পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময় এসেছে। মানুষ অধীর আগ্রহে ভোটের অপেক্ষায়, যাতে তারা নিজের পছন্দের সরকার বেছে নিতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন করা হবে। সিলেটসহ সারাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে এবং বেকারত্ব দূর করা হবে। পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, মাদকমুক্ত সিলেট গড়ে তোলা এবং শহরকে সারা দেশের জন্য একটি বাসযোগ্য উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য নিয়েও তিনি কর্মসূচি হাতে নেবেন। আমরা চাই সিলেট একটি আধুনিক, নিরাপদ ও উন্নত শহর হিসেবে স্বীকৃত হোক। তাই জনগণকে আমাদের এই প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাবেক আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, গোলাম জাকির চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব, সহ-সভাপতি জিয়াউর গণি আরেফিন জিল্লুর, নুরুল মোমিন খোকন, আমির হোসেন, মাহবুব কাদির শাহী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন লস্কর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম মজুমদার, শুয়াইব আহমদ শুয়েব, নাদির খান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, রফিকুল ইসলাম রফিক, কোতোয়ালী থানা বিএনপির আহবায়ক ওলিউর রহমান চৌধুরী সোহেল, জালালাবাদ থানা বিএনপির আহবায়ক শহীদ আহমদ, মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তারেক আহমদ খান, খায়রুল ইসলাম খায়ের, মো. লুৎফুর রহমান মোহন প্রমুখ।
শেয়ার করুন


