নগরীতে পানি সংকট, সরবরাহ হচ্ছে প্রয়োজনের অর্ধেক

সিলেট

ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীতে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বাড়ছে বাসা-বাড়ির সংখ্যাও। এতে বিশুদ্ধ পানির চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু, বাড়েনি পানির উৎপাদন ক্ষমতা। নগরীতে প্রতিদিন ৮ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

জানা যায়, ২০১৪ সালে সিলেট সদরে সারি নদীর প্রবাহে চেঙ্গেরখালে একটি ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিসিক। এতে ব্যয় ধরা হয় ৮০৮ কোটি টাকা। কিন্তু সেই ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের কোন অগ্রগতি নেই। অথচ বছরের পর বছর ভোগান্তিতে আছেন নগরবাসী।

সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পানির চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন করে ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। শহরতলির বড়শালায় ১৩ একর জায়গা অধিগ্রহণসহ প্ল্যান্ট নির্মাণে ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রকল্পের জন্য ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেন। কিন্তু প্রক্রিয়া গ্রহণের ৮ বছরেও এই প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র আরিফ জানিয়েছেন, বড়শালা ছাড়াও দক্ষিণ সুরমায় আরেকটি ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ৫ কোটি লিটার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সংকট আপাতত সমাধান হতো।

সূত্র মতে, নগরীতে প্রতিদিন সাড়ে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। বৈধ গ্রাহকদের পানির চাহিদা ৪ কোটি লিটার। কিন্তু অবৈধ সংযোগ ও অপচয়ের কারণে সিসিক কূলকিনারা পাচ্ছে না।

সিসিক সূত্র জানায়, ১৪ সালে ২৭টি ওয়ার্ডের জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এই প্ল্যান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বর্তমানে সিসিকের ওয়ার্ড সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২টি। পানির চাহিদাও আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু, পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়েনি। অনেকটা বাধ্য হয়ে গভীর নলকূপ স্থাপন করে সাময়িকভাবে এই সমস্যাকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *