স্টাফ রিপোর্টার : এবার শৃঙ্খলায় আসছে প্যাডেল চালিত রিকশা। নির্ধারিত হচ্ছে ভাড়াও। একইসাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে নির্ধারণ হতে যাচ্ছে ভাড়া। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক হচ্ছে অটোরিকশায় গ্রীল স্থাপন ও ৩ জন যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে ভাড়া কিছুটা বাড়লেও নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফিরানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
জানা গেছে, নগরে গণ পরিহন না থাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। সিএনজি অটোরিক্সা চুক্তিভিত্তিক পরিবহন হওয়ায় লকেল ভাড়া নির্ধারণে কেউ এগিয়ে আসেনি। বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশন দায় নেই বলে বিষয়টি সব সময় এড়িয়ে গেছে। ফলে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক সংগঠন ও চালকদের হাতে চলে যায় পুরো ক্ষমতা। তারা কারো সাথে আলোচনা না করেই একটি ভাড়া নির্ধারণ করে যাত্রীদের উপর চাপিয়ে দিয়ে আসছে। এবার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। তিনি সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংগঠনকে ভাড়ার তালিকা দেয়ার নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি ভাড়ার তালিকা এসএমপি কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। তাদের দেয়া ভাড়া তালিকার সাথে স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে একটি যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দের সাথে নগরবাসীর সুবিধার্থে সিএনজি ও রিকশার যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করার লক্ষ্যে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সুধীজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটি ভাড়া নির্ধারণের মতামত নেয়া হয়। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ও তাদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের সাথে আলোচনা করে ভাড়া তালিকা চ‚ড়ান্ত করা হবে। এরপর সেটি গণবিজ্ঞপ্তি আকারে সকল গণমাধ্যমে প্রেরণ করার পাশাপাশি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টানানোর ব্যাপারে মত দেয়া হয়।
সভায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে ভাড়ার বিষয়টি বাস্তবসম্মতভাবে নির্ধারণ করা হবে। যাতে চালক ও যাত্রী উভয়পক্ষেরই স্বার্থ রক্ষা হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সিএনজি যানবাহনে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সিএনজির সামনে ও পেছনে গ্রিল লাগানো বাধ্যতামূলক করা হবে এবং সিএনজি সর্বোচ্চ ৩ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। আমরা চাই এই অনিয়মগুলো দূর করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- এসএম‘ির বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারবৃন্দ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মহানগর খেলাফত মজলিস সভাপতি হফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লেঃ কর্ণেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, গণঅধিকার পরিষদ সিলেট মহানগর সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন, সিলেট মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মহানগর এবি পার্টির আহŸায়ক উমর ফারুক, এমসি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মোঃ বিলাল উদ্দিন, মদন মোহন সরকারী কলেজের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ সিলেটের আহŸায়ক ডাঃ শামীমুর রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য তাহমিনা আহাদ রোজী সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি খায়রুল হোসেন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক ও ট্রেজারার মোঃ জহির হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) সিলেটের রকিব খান মাহমুদ, আটাব সিলেট অঞ্চল সভাপতি মোঃ জিয়াউর রহমান খান রেজুয়ান, নিরাপদ সড়ক চাই সিলেট জেলা আহŸায়ক জহিরুল ইসলাম মিশু, বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, দৈনিক জালালাবাদের সিনিয়র রিপোর্টার এমজেএইচ জামিল, আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক-এর চৌধুরী নাজমুল হাসান ও ফটো সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন আজাদ প্রমূখ।
প্রধান সম্পাদকঃ সারওয়ার খান
সম্পাদকঃ জাকের খান (রুবেল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫