নবীগঞ্জে ৭ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

হবিগঞ্জ

নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঘোলডুবা গ্রামের মো. সাজ্জাদুর রহমানের পুত্র মনসুর হাম্মাদ ওরফে আবু আহমদ হাম্মাদ (৪০) ও একই গ্রামের নুরুজ্জামানের পুত্র সাজু মিয়া ওরফে দিদারুজ্জামান সাজুসহ (৪০) ৭ জনের বিরুদ্ধে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন ঘোলডুবা এমসি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ঘোলডুবা গ্রামের মৃত আব্দুন নূর এর পুত্র মো. আব্দুর রকিব (৪৫) নামের ব্যক্তি।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঘোলডুবা এম সি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য। ১নং বিবাদী, মনসুর হাম্মাদের পিতা মো. সাজ্জাদুর রহমান উল্লেখিত বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তার পিতা সভাপতি থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপিত হলে জনগণ ব্যাপকভাবে তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হন। বাদী নিজেও এহেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন।

স্কুলের শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ রক্ষায় আব্দুর রকিবের অবস্থানের কারনে ১নং বিবাদী ও ২নং বিবাদী সাজু মিয়া প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাহাদের নিজস্ব ফেসবুক আইডি ও তাহাদের পরিচালনাধীন ফেইক আইডি থেকে আব্দুর রকিবকে সমাজে হেয়, প্রতিপন্ন, অপমান, অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে নানা ধরনের কুরুচিপুর্ণ মানহানিকর ও ছবিসহ পোষ্ট করেন অপর আসামীরা শেয়ার ও লাইক কমেন্ট করে বিবাদীদের সহযোগীতা করেন।

মূল আসামীরা অপরিচিত মহিলার ছবি সংযুক্ত করিয়া এডিটের মাধ্যমে পোস্ট করে আক্রমনাত্মক পোষ্ট করিয়া মারাত্মক সাইবার অপরাধ করেছে। এক পর্যায়ে বাদী মানষিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে নবীগঞ্জ থানায় গত ৭ জানুয়ারি একটি জিডি এন্ট্রি নং-৪৩৮ দায়ের করেন আসামীদের বিরুদ্ধে।

অবশেষে থানা পুলিশের পরামর্শে গত ২৫ জানুয়ারি সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জকে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

এ বিষয়ে বাদী আব্দুর রকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসামীরা একাধিক মামলা মোকদ্দমার আসামী ও এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, তারা আইন কানুনের ধার ধারেনা। তাই প্রশাসন ও আদালতের নিকট তিনি সুবিচার প্রার্থনা করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *