নাদেলকে জয়ী করতে আ. লীগ নেতাকর্মীরা একাট্টা

মৌলভীবাজার

প্রায় দেড় দশক পর মহাজোটের গ্যাঁড়াকল থেকে মুক্ত হওয়া মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে ইতোমধ্যে একের পর এক বর্ধিত কর্মীসভায় নিজেদের ঐক্যমতের জানান দিচ্ছেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর নিজ দলীয় প্রার্থী পেয়ে নেতাকর্মীরা মরুর পানি তৃপ্তির মতো আনন্দিত ও উৎসাহিত। আওয়ামী লীগ ছাড়াও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মতে- নিজ দলীয় নেতার হাতে দলীয় প্রতীক নৌকা এসেছে, তাই এ সুযোগ তারা হাত ছাড়া করতে চান না। তাই স্বতন্ত্রের ঘাঁটিতে সিঁদ কাটছেন তারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম জানান, ক্লিন ইমেজ নিয়ে অন্যান্য প্রার্থীর চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী নাদেলকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। সেইসাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তারা কাজ করছেন।

জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কৌলা এলাকার কৃতী সন্তান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে। এরপর তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও সবশেষ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে দুই মেয়াদে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন নাদেল।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৭ জন প্রার্থী। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান (ট্রাক), তৃণমূল বিএনপি থেকে এম এম শাহীন (সোনালি আঁশ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল মতিন (কাঁচি), জাতীয় পার্টি থেকে আব্দুল মালিক (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোট থেকে মাওলানা আছলাম হোসাইন রাহমানী (মিনার) , বিকল্পধারার মো. কামরুজ্জামান সিমু (কুলা) ও ইসলামী ফ্রন্টের এনামুল হক মাহতাব (মোমবাতি)।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *