নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিবর্তন যশোরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ও যশোরের ঐতিহ্যবাহী নাট্য সংগঠন বিবর্তন যশোর ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে ৩৩ বছরের পূর্ণ যৌবনে পর্দাপন করছে।
আর তাই বিবর্তন যশোরের ৩৩ বছরপূর্তি উপলক্ষে গত কয়েকদিন যাবত বৃক্ষ রোপন, শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগীতাসহ নানামুখী কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় (২১ অক্টোবর) শুক্রবার “দ্রোহের আগুন ফুটাবো সূর্যমূখী, কৃষ্ণচূড়া-পলাশের রক্তিম পরশে ঘুচবে অমানিশা” এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে সমাপনী দিনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, সম্মাননা, কবিতা আবৃত্তি, পুরষ্কার বিতরণসহ মঞ্চস্থ হয় নাটক।
শর্মীষ্ঠা ভট্রাচার্য্য তুপার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবর্তন যশোরের সভাপতি নওরোজ আলম খান চপল।প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও বিবর্তন যশোরের সাবেক সভাপতি সানোয়ার আলম খান দুলু এবং বিবর্তন যশোরের উপদেষ্টা ও জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চণা বিশ্বাস।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিবর্তন যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর বিশ্বাস।
এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন- ছোট শিশুরা খেলবে, পড়বে, লেখবে, গাইবে, নাচবে, আঁকবে ও আবৃত্তি করবে। তাদেরকে স্বাধীনভাবে চলাচলের সুযোগ দিতে হবে। অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। কোচিং এর উপর নির্ভরশীলতা হওয়া থেকে বিরত থাকুন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা আদায় করে নিন। সপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারে কেচিং সেন্টারের পরিবর্তে শিশুকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পাঠান। তাদের শৈশবটিকে ফিরিয়ে দিন।
“সোনার দেশের সোনার মানুষ” হিসাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পেশাভিত্তিক একজন সফল ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সোনার মানুষ হিসেবে এবার সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় যশোরের কৃতি সন্তান সানজিদা আক্তার মেঘলা।
সম্মাননা প্রাপ্ত সানজিদা আক্তার মেঘলা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন- নারীদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে। সকল কাজে নারীরা কৃতিত্ব বয়ে নিয়ে আসছে। তাই পিছিয়ে পড়লে হবে না। নতুন উদ্যোমে বহুদূর যাওয়ার আকাঙ্খা রাখতে হবে।

সম্মাননা প্রদান শেষে বিবর্তন যশোরের শিশুদের দলীয় ও একক কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কাহিনী সংগ্রহ ও নাট্যরূপ কাজী চপলের এবং বৈদ্যনাথ অধিকারীর নির্দেশনায় ‘পাইচো চোরের কেচ্ছা’ নাটকের শততম মঞ্চায়ন হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *