নড়াইলে এক নারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে (৪৬) গণধর্ষণ ও মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের ছেলের অভিযোগ, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভুক্তভোগী। তিনি নড়াইল সদরের একটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
ওই মেম্বার গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি-না সে বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, “শুক্রবার দুপুরে ঘটনা শুনে এখন (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।”
তবে নিহতের ছেলে ও স্বজনদের দাবি, বুধবার বিকেলে টিসিবির মালামাল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাজিবুল নামে একজন তাকে ফোন দিয়ে পাওনা টাকা নিতে ডাকে। সেখানে যাওয়ার পর রাজিবুলসহ কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তারা দুই লাখ দাবি করে। ভুক্তভোগী লোকজনকে জানাবে বললে হুমকি-ধমকি এবং মুখে বিষ ঢেলে দেয়। বাড়ি ফিরে ভয়ে কাউকে কিছু বলেননি। অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী ছেলের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা ও জড়িতদের নাম বলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৪টার দিকে তার লাশ নিয়ে যান স্বজনরা।
নড়াইল সদর থানার ওসি বলেন, “নিহতের ছেলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তার কাছে জানতে পেরেছি গতকাল সন্ধ্যায় তিনি একজনের বাসায় যান। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শেয়ার করুন