নিজের ঘোষিত ‘মা-বাপহীন’ দলের প্রার্থী হলেন এম এম শাহিন

মৌলভীবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : চরম নাটকীয়তার পর এবারও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন।

বুধবার বিকেলে পৌরশহরের নিজ বাসায় অনুসারী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার  তৃণমূল বিএনপির মনোনয়নফরম সংগ্রহ করেন শাহিন। পরদিন বুধবার নিজ বাসভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় চরম নাটকীয়তার জন্ম দেন তিনি।

সভায় তৃণমূল বিএনপিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শাহিন বলেন,’যে দলের মা নেই, বাপ নেই, ঠিকানা নেই… সেই দলে আমি যেতে চাই নি। কিন্তু কুলাউড়ার মানুষের স্বার্থে সেই দলের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু আপনারা সেটি চান নি, তাই আমি তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন ফরম ছিঁড়ে ফেললাম। আমি আর নির্বাচন করব না।’

এসময় উপস্থিত জনতা তার এমন বক্তব্য শোনে তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানান। পরে একপর্যায়ে তিনি নিজের ঘোষিত ‘মা-বাবাহীন’ দল তৃণমূল বিএনপি থেকেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।


এ বিষয়ে এম এম শাহিন আজকের সিলেটকে বলেন,’ জনগণ ব্যক্তি শাহিনকে চায়। ব্রান্ড শাহিনকে চায়। তাই তৃণমূল বিএনপি থেকে আমি মনোনয়নফরম নেওয়ায় আমার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ জনতা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সেজন্য আমি মনোনয়নফরম ছিঁড়ে ফেলি। কিন্তু জনগণ এবারেও আমাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। তাই তারা আবদার করে আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে নির্বাচনী বিধি মোতাবেক আমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হতে পারি নি।তাই জনগণের মতামত নিয়েই আবারও তৃণমূল বিএনপি থেকে আমি প্রার্থী হচ্ছি।’

উল্লেখ্য,১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ধানের শীষ মার্কা নিয়ে কুলাউড়া আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন এম এম শাহিন। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট গঠিত হলে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। সেবার ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে ৬ হাজার ভোটে পরাজিত করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক এ কর্মী ।

২০০৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। কিন্ত সেই নির্বাচন স্থগিত হয়ে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালে বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *