এ সপ্তাহেও নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিরতা আসেনি। বেড়েছে দেশি রসুন, দেশি শুকনো মরিচ, দেশি হলুদ, জিরা, দারুচিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম।
সিলেটের বাজারগুলোতে দেখা যায়, ঈদের আগে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচ এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ১৫০ টাকার নিচে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছেন না ক্রেতারা।
খুচরা বিক্রেতা সুজন মিয়া কাঁচা মরিচ প্রতি পোয়া ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না।
বরবটি এখন ৬০/৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, এখনো সিলেটের অধিকাংশ বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি হচ্ছেনা। ব্যাবসায়ীদের অজুহাত, নতুন দামের তেল এখনো তারা পাননি। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৯৯ (সরকার নির্ধারতি দাম ১৮৫ টাকা) টাকা দরে। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৯০০ টাকায় নেমেছে।
এছাড়া এখনো প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকা। হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
খোলা আটা ৪৫ টাকা কেজি দরে। প্যাকেট আটা ৫৫/৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের ভালো ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। বাজারে ৬০ টাকার নিচে কোনও ময়দা নেই।
এদিকে, এককেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা।
৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়।
মাছ বাজারে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়। শিং ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।