আগামী বছরের ডিসেম্বর অর্থাৎ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। শীতের কারণে বর্তমানে প্রায় সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট চাহিদা কমেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে মোট বিদ্যুৎ চাহিদা আবারও পনের হাজার মেগাওয়াটের বেশি দাঁড়াবে।
জনমনে শঙ্কা, তখন কী আবারও বাড়বে বিদ্যুতের ভোগান্তি? সরকার বলছে, গ্রীষ্ম মৌসুমের আগেই ভারত থেকে আমদানি ও দেশীয় মিলে অন্তত সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। উন্নতি হবে সঞ্চালন ও বিতরণ পরিস্থিতিরও।
নীতিনির্ধারকরা আরও বলছেন, বৈশ্বিক কোনো সংকট না হলে এখনকার মতো আগামী বছর পুরোটাই লোডশেডিংমুক্ত থাকবে দেশের মানুষ।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, রামপাল, পায়রার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ, বরিশাল প্রাইভেট পাওয়ার ট্রি, আদানি— এগুলো জানুয়ারি থেকে আসা শুরু হবে। এখন গ্রাহকদের যে রকম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, আশা করছি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। এরপর নতুন করে পরিকল্পনা করবো।
সরকারের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জও কম নয়। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী জ্বালানির বাজার নতুন বছরে কোনদিকে যায়, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই। তবে বৈশ্বিক মন্দাসহ নানা কারণে জ্বালানি তেলের দাম খানিকটা কমেছে, স্থিতিশীল আছে কয়লার বাজারও। ধারণা, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে আরও কয়েক মাস। তাই ভোটের আগের বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বাড়তি চাপে ফেলবে না বলে আশাবাদী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বললেন, সামনের বছর নিয়ে আগাম বার্তা দেয়া যাচ্ছে না, কী হতে পারে। বৈশ্বিক মার্কেট তো এখন উত্তাল অবস্থায়। তবে আমরা ভালোর দিকে যাচ্ছি। ভিন্ন ভিন্ন জ্বালানি আসছে দেশে। যেমন কয়লা আসতেছে। আমরা আশাবাদী, বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে।
দেশে উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার ৭৩০ মেগাওয়াট হলেও এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি উৎপাদনে যেতে পারেনি।