নোটিশ ছাড়া বর্ডার বন্ধ না করতে ভারতকে সিলেট চেম্বারের আহবান’

সিলেট

দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ও দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পক্ষ থেকে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ভারতের আসামের গোয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ২য় নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া বায়ার-সেলার মিট-এ যোগদান করেন।

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ব্যবসায়ীক সম্পর্ক জোরদারকরণের লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, আসাম সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় সম্মেলনটি আয়োজন করেছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসামের মূখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিং। সম্মেলনে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, হস্তশিল্প, খনিজ সম্পদ, পণ্য উৎপাদন এবং আমদানি-রপ্তানি বিষয়ে প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন। এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রতিনিধিদলের প্রধান ও এফবিসিসিআই এর সহ সভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

সম্মেলনে সিলেট চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক জনাব তাহমিন আহমদ বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রচুর পণ্য রপ্তানি হয়। কিন্তু অনেক সময় কোন নোটিশ ছাড়াই ভারতীয় বর্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে বাংলাদেশী আমদানিকারকগণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হন। তিনি বাংলাদেশী আমদানিকারকদের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে আগাম নোটিশ ব্যতিরেকে বর্ডার বন্ধ না করার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান। তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সহজীকরণ ও  রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষে ভারতের বর্ডার সংলগ্ন স্থানে রপ্তানি পণ্যের সার্টিফিকেটিং এজেন্সী স্থাপনের অনুরোধ জানান অথবা বিএসটিআই এর সার্টিফিকেট গ্রহণের আহবান জানান।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ও আসাম রাজ্যের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার লক্ষে নদীপথে লাইটার জাহাজ চালানো, বাংলাদেশের আমদানিকারকগণ কর্তৃক নিজস্ব স্থানে কয়লা ও পাথর ডাম্পিং এ বিএসএফ কর্তৃক বাঁধা প্রদান না করা, সিলেটের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোয়াহাটি-শিলচর-করিমগঞ্জ-সুতারকান্দি রুটে বাস সার্ভিস চালু, ভোলাগঞ্জ ও ছাতকের যাদুকাটা নদী রুটের বিপরীতে ভারতীয় অংশে ইমিগ্রেশন চালুর অনুরোধ জানান। সম্মেলনে ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, লাওস ও ভুটানের আমদানি-রপ্তানিকারক ও সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ যোগদান করেন।

এফবিসিসিআই এর সহ সভাপতি মো. আমিন হেলালীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে রয়েছেন এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু মোতালেব, সাবেক পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন বিজনেসম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিতু, এফবিসিসিআই এর প্রতিনিধি মো. নিয়াজ আলী চিশতি, মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন রাজিব, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ সেলিম, সৈয়দ মো. আতিকুল হাসান, মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সিলেট চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ, সহ সভাপতি মো. আতিক হোসেন, পরিচালক ও এফবিসিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার, মুজিবুর রহমান মিন্টু, সরোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সদস্য মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *