সিলেট নগরীর জালালাবাদ থানাধীন আখালিয়া নতুন বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম আহমদের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় আখালিয়া নতুনবাজার মুসলিম নগর জামে মসজিদ মার্কেটস্থ সাদি ট্রেড সেন্টারের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সেলিম বাদি হয়ে জামায়াত শিবিরের ২০ কর্মীর নাম উল্লেখ করে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জালালাবাদ থানাধীন ধামালীপাড়া গ্রামেরর মৃত লাল মিয়ার ছেলে লোকমান, আখালিয়া বড়বাড়ির মৃত সুলেমান মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া বাবুল, যোগীপাড়ার মৃত আপ্তাব আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ, সোনার আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান, মৃত লাল মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া, মৃত কালা মিয়ার ছেলে কাহির মিয়া, মৃত সাদ মিয়ার ছেলে সুজন, জুনেপ, সুহেল ও রুহেল, ধামালীপাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে শাকিল ও জাকির, মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আফিক ও জুনেদ, আখালিয়া বড়বাড়ির মৃত রইছ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, যোগীপাড়ার লিলু মিয়ার ছেলে রাসেদ, আপ্তাব মিয়ার ছেলে নজরুল ও নূরুল, দুলালের ছেলে মামুন এবং চান্দিয়ালা গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে সুজন।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, আখালিয়া নতুনবাজার মুসলিম নগর জামে মসজিদ মার্কেটস্থ সাদি ট্রেড সেন্টারের ভেতরে হাজী সেলিমের ব্যাবসায়িক ও রাজনৈতিক একটি কার্যালয় রয়েছে। প্রতি রাতে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বসে রাজনৈতিক আলাপ আলোচনা করেন। আসামিরা এসব সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন সময় সেলিমসহ অন্যদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলো। শাবিপ্রবি সংলগ্ন যোগীপাড়া গ্রামের আব্বাস আলী জামে মসজিদের ৩য় তলায় নূরে মদিনা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় জামাত শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা সমাবেশের জন্য একটি কক্ষ নির্মাণ করে আসামিরা। হাজি সেলিম গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে অন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করেন। এ বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা সেলিমের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে হত্যার ছক কষতে থাকে। এর সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেলিমের অফিসে হামলা চালায় আসামিরা। এসময় তারা নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুটসহ মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে এবং সেলিম ও তার ভাই জুবেক এবং অফিস সহকারী জাকির হোসেনকে আহত করে ‘হৈ হৈ রৈ রৈ হাজী সেলিম গেলো কই, শিবিরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের ওদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন হাজী সেলিমের ভাই জুবের আহমদ জুবেক।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান
শেয়ার করুন