নোয়াখালীর ৪ উপজেলায় একদিনে পানিতে ডুবে ২ সহোদর ও ২ চাচাতো বোনসহ ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত জেলার কবিরহাট, সুবর্ণচর, হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় শিশুমৃত্যুর এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ৩ দিনে জেলায় পানিতে ডুবে মোট ৯ শিশুর মৃত্যু হলো।
আজ পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুরা হলো- কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের আবু নাছেরের ছেলে রিফাত (৯) ও রিফান (৭), সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর বৈশাখী গ্রামের মো. হোসেনের মেয়ে রিয়া বেগম (৯) ও তার ভাই সালাউদ্দিনের মেয়ে নাসরিন আক্তার (১১), হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের লামছড়ি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে নিহা (৫) এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর (৩)।
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কবিরহাট থানার উপপরিদর্শক দিদার উল আলম জানান, কবিরহাটে আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। ওই সময় প্রতিবন্ধী রিফাত ও তার ভাই রিফান পুকুরের পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। তখনই তাদের উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাতিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, হাতিয়ার সুখচরের শিশু নিহা সকাল ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে।
এদিকে সুবর্ণচর উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামের রিয়া বেগম (৯) ও তার চাচাতো বোন নাসরিন আক্তার (১১) পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করত। তারা ঈদুল আজহার ছুটিতে গ্রামের বাড়ি আসে। তাদের কেউই সাঁতার জানত না।
আজ দুপুরের দিকে পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ অবস্থায় কোনো এক সময় ২ বোন বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চরজব্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল ওয়ারেছ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।’
কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাড়ির সবার অগোচরে দুপুরে গাংচিল গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে আবু বক্কর পানিতে পড়ে মারা যায়।’
শেয়ার করুন