মৌলভীবাজারের বড়লেখায় চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার ও চুরির সাথে সম্পৃক্ত পেশাদার চোরকে গ্রেফতারের পরও এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যুবক কারাভোগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলিম উদ্দীন নামের ওই যুবককে নির্দোষ দাবি করে জেল থেকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, ইউপি মেম্বার ও তার ভাইয়ের নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করায় আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কলিমকে। আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় তাকে জামিন দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী যুবক মৌলভীবাজারের বাড়লেখা উপজেলার পূর্ব মাইজগ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ আনেন বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইমাম উদ্দিন হিফজুর। চোর অপবাদ দিয়ে তাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে হিফজুর ও তার ভাই রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে গত ১৬ অক্টোবর ইউপি মেম্বার ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন কলিমের ভাই ছইদুর রহমান। এরপরই আন্দোলনে নামে এলাকাবাসী। এর দুদিন পর থানায় এসে প্রতিবন্ধী কলিমের বিরুদ্ধেই মামলা করেন ইউপি মেম্বারের ভাই রাজু আহমেদ।
এরই মধ্যে, গত ২৩ অক্টোবর চুরি হওয়া মোবাইল ফোনসহ পেশাদার চোর ফাহিদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবক কলিম উদ্দিন আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ নিয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হারুনুর রশীদ বলেন, আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিন চাওয়া হয়। তবে বিজ্ঞ আদালতকে বোঝাতে না পারায় তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।
এমন ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসীও। তাদের প্রশ্ন, চোর ধরা পড়লো, মোবাইলও উদ্ধার হলো। তাহলে নির্দোশ এই প্রতিবন্ধীর দোষটা কী? কলিমের নিঃশর্ত মুক্তি ও অভিযুক্তদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এদিকে পুলিশ বলছে, আসল চোর ফাহিদ আহমদ মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করেছে। সে আন্তঃজেলা মোবাইল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে।
শেয়ার করুন