প্রতিটি ভোটকক্ষেই থাকবে সিসি ক্যামেরা!

জাতীয়

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষেই সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুরু থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ভোট ব্যবস্থাপনাকে অধিক স্বচ্ছ করে তোলার কথা বলছেন। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ব্যবহার করা হয়েছে ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা। প্রতি ভোটকক্ষ এবং ভোটকেন্দ্রের প্রবেশ পথে এই যন্ত্র বসিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকেও তারা ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন। আর এই কারণেই সহিংসতা এড়ানো গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কুসিকের সাফল্যের পর এবার আরও বড় আকারে চিন্তা করছে ইসি। এক্ষেত্রে সংসদ নির্বাচন পুরোটাই তারা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায়। তবে এই সাপোর্ট কোনো প্রতিষ্ঠান দিতে পারবে কি-না, তা নিয়েই বরং চিন্তিত তারা।

জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪২ লাখ ভোটারের জন্য ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা করা হয়। এর আগে আগস্টে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনে ৪০ হাজার ৬৫৭টি সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের তালিকা হয়। একটি আসনে নির্বাচন না হওয়ায় (সে সময় গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সেখানকার ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ) ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রের দুই লাখ সাত হাজার ৩১২টি ভোট কক্ষে ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পান। কিন্তু বর্তমানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখের বেশি। চলমান হালনাগাদ শেষে ভোটার আরও ৫০ লাখের মতো বাড়বে। সেই হিসেবে ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যাও বাড়বে। তাই সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে অন্তত দুই লাখ।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা সব ভোট কক্ষেই সিসি ক্যামেরা দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে ভাবনার বিষয় হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠান আছে কি-না, যার এতো বিশাল সংখ্যক সিসি ক্যামেরা সাপ্লাই দেওয়ার সক্ষমতা আছে। যদি কেউ দিতে পারে আমরা অবশ্যই দেবো। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে আরও বেশি সংখ্যক সিসি ক্যামেরা দেওয়া পরিকল্পনা আছে। নির্বাচনকে স্বচ্ছ করার জন্য আমরা যা যা দরকার সবই করার পরিকল্পনা করছি।

তিনি বলেন, সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিতে ১২ থেকে ১৪ কোটি টাকার মতো লাগবে। এটা খুব বেশি কিছু না, একটি ভালো নির্বাচন আয়োজনের জন্য।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *