প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি

খেলাধুলা

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি হারিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানকে।

তুরস্কের ইস্তানবুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ম্যান সিটি জয় পায় একমাত্র গোলে। ফাইনালের গোলদাতা রদ্রি।

নিজেদের ইতিহাসে এরআগে একবারই ফাইনাল খেলেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১ সালে চেলসির বিপক্ষে হেরে হয় রানার্সআপ, এবং ইউরোপ সেরার মঞ্চে এটাই এতদিন ছিল ম্যানচেস্টার সিটির সর্বোচ্চ সাফল্য।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধও এগুচ্ছিল সেই পথ ধরে। অবশেষে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে ভাঙে ডেডলক। ম্যানুয়েল আকাঞ্জি পাস বাড়ান ডানদিকে ফাঁকায় থাকা বের্নার্দো সিলভার পায়ে। সিলভার ক্রস ইন্টারের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে যায় ম্যান সিটির মিডফিল্ডার রদ্রির পায়ে। দৌড়ে এগিয়ে আসা রদ্রি দুর্দান্ত এক শটে বল পাঠান ইন্টারের জালে।

এক গোলে পিছিয়ে থাকা ইন্টার মিলানও ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল, দুই মিনিট পরই। ডেঞ্জেল ডামফ্রাইসের হেড থেকে আরেক হেড করেন দিমার্কো। তবে বল ফিরে আসে সিটির গোলবারে লেগে। ফিরতি বলে আবার হেড দিমার্কোর। কিন্তু এবার বলের সামনে পড়ে গেলেন দিমার্কোরই সতীর্থ বলদি নামা রোমেলু লুকাকু! বেঁচে গেল সিটি।

এরপর ফের লুকাকু। ৮৯তম মিনিটে রবিন গোসেন্স দারুন এক কাটব্যাক করে বল দিয়েছিলেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের সামনে। লুকাকুর সামনে তখন শুধু এদেরসন। দুই পাশে ফাঁকা জায়গা। কিন্তু ইন্টার স্ট্রাইকার হেড নিলেন একেবারে এদেরসনের বরাবর। বলটা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি এদেরসন, তবে ফেরত আসা বল বাইরে পাঠিয়ে কর্নারের বিনিময়ে সিটিকে বাঁচিয়ে দেন রুবেন দিয়াজ।

যোগ করা সময়ের একেবারে শেষেও একটা সুযোগ আসে তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে। কিন্তু রবিন গোজেন্সের হেড ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন এদেরসন। নিশ্চিত হয়ে যায় সিটির শিরোপা জয়।

২০২২-২৩ মৌসুমে ইতোমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জিতেছে সিটি। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাধ্যমে পূর্ণ করল ট্রেবল জয়।

প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর ট্রেবল জয়ের ইতিহাস আগে ছিল মাত্র একটাই। ১৯৯৯ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের হাত ধরে যা করে দেখিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার পেপ গার্দিওয়ালার হাত ধরে সেটাই করল তাদেরই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী।

ম্যানসিটির একাদশ: এদেরসন, অ্যাকাঞ্জি, স্টোনস, রুবেন দিয়াজ, নাথান একে, রদ্রি, বেনার্ড সিলভা, ডি ব্রুইনি, ইলকে গুন্ডোগান, গ্রেলিস ও হালান্ড।

ইন্টার মিলানের একাদশ: ওনানা, ডারমিয়ান, আকারবি, বাসটোনি, ডামফ্রাইস, বেরেল্লা, ব্রোজোভিক, কালানগলু, ডিমার্কো, জেকো, মার্টিনেজ।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *