প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে সিলেটে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যাঙ্গাত্মক ছবি প্রকাশ ও কটুক্তি করার অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (৪ জুন) সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ১১ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পুরাতন গ্রামের লালু মিয়ার পুত্র মুহিবুর রহমান জুয়েল তারেক। সাইবার মামলা নং-১৪৩/২০২৪ইং।

সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ মনির কামাল মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের জন্য সুনামগঞ্জ জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় সকল আসামিরা সকলেই প্রবাসী বলে জানা গেছে।

মামলার আসামীরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার  মক্রমপুর গ্রামের মো: মখদ্দুস আলীর পুত্র মো: ফয়জুর রহমান (৩৫), মাদারীপুর জেলার সদর থানার মধ্য হাউসদী গ্রামের নূর মুহাম্মদ খানের পুত্র মো: মাহিন খান (৩৮),  সিলেট জেলার জকিগঞ্জ থানার পশ্চিম সহিদাবাদ গ্রামের আব্দুর রউফ তাপাদারের পুত্র আহমদ শহিদ তাপাদার (৩০), বিয়ানীবাজার উপজেলার দেবারাই গ্রামের মাহমদ আলীর পুত্র জাহিদ হোসেন (২৪),  এসএমপির জালালাবাদ থানার তালুকদার পাড়া গ্রামের ফারুকুল ইসলামের পুত্র আশরাফুল ইসলাম নোবেল (২৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের হাফিজ আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ অলিউর রহমান (৫৬), জগন্নাথপুর থানার সাদিপুর গ্রামের আবু তালেবের পুত্র শাহেদ আহমদ (২৫), মৌলভীবাজার জেলার সদর থানার জগন্নাথপুর গ্রামের কবির মিয়ার পুত্র মো: সাইফুল ইসলাম (৩৪), এসএমপির বিমানবন্দর থানার চৌকিদেখি আব্দুল মন্নাফ রোড এলাকার মোহাম্মদ শাহজাহানের পুত্র মো: ফাওজিল আজিম (৩৩),  সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার নালিউরী গ্রামের মোহাম্মদ তছিম উল্লাহ’র পুত্র মোহাম্মদ ইমতিয়াজ শরীফ (৩৪) ও ও বালাগঞ্জ থানার হায়দরপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার পুত্র ইসহাক আহমদ (২৪)।

মামলার বাদী মুহিবুর রহমান জুয়েল তারেক বলেন, আসামীরা সকলেই বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা দীর্ঘদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি বিকৃত করে নানা ধরনের কটুক্তি করে যাচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *