প্রযুক্তির যুগে হারিয়ে যাচ্ছে গরু-মহিষ দিয়ে চাষাবাদ

গ্রামবাংলা

এম ইয়াকুব হাসান অন্তর
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

লাখাইয়ে গবাদিপশু গরু ও মহিষের সাহায্যে চাষাবাদের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। এককালে লাখাইয়ে গরু- মহিষের চাষাবাদ চলতো।সে সময় গবাদিপশু গরু ও মহিষের সাহায্যে চাষাবাদের কোন বিকল্প ছিল না।কৃষকেরা ভোরবেলা থেকে দুপুরবেলা পর্যন্ত চাষাবাদ করতো।বর্তমানে সে অবস্থা আর নেই।লাখাইর চাষাবাদ শতভাগ যান্ত্রিক যুগে প্রবেশ করায় দিন দিন মান্দাতার আমলের গো- মহিষের চাষ হারিয়ে যেতে বসেছে।যান্ত্রিক চাষাবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠায় দিন দিন গরু মহিষের চাষ কমতে কমতে বর্তমানে প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
কৃককদের সাথে আলাপকালে জানান আমরা ৬/৭ বছর আগেও গরুর হালচাষ করতাম কিন্তু কলের লাঙ্গলের সাহায়্যে সহজে অল্প সময়ে চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় পূর্বকার গরুর হাল চাষ ছেড়ে কলের লাঙ্গলের দিকে ঝুঁকে পড়েছি। আর এতে কষ্ট কমে গেছে এবং ফলনও বেড়েছে। তাই বর্তমানে গরুর হালচাষ তেমন নেই।মাঝে মধ্যে দু একজন কৃষককে গরু দিয়ে চাষ করতে দেখা যায়।এছাড়া যে জমিতে কলের লাঙ্গলের চাষের সুযোগ নেই সেখানে গরুর সাহায়্যে চাষ করা হয়ে থাকে।বর্তমানে গরুর চাষের লাঙ্গল- জোয়ালও তেমন চোখে পড়েনা।করাব গ্রামের সব্জি চাষী শাহজাহান মিয়া জানান আমাদের গ্রামে এখনও ৪/৫ জন প্রবীন কৃষক রয়েছেন যারা এখনও গরুর সাহায়্যে চাষাবাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলার করাব ইউনিয়নের করাব গ্রামে পরিদর্শন কালে দেখা যায় বয়োবৃদ্ধ কৃষক মোঃ সন্জব আলী তার একখণ্ড জমিতে গরু দিয়ে চাষাবাদ করছে।আলাপকালে জানান আমি আমার এ জমিতে সব্জি চাষের জন্য জমি তৈরী করছি।

তিনি আরোও জানান সবাই গরুর চাষ ছেড়ে দিলেও আমি এখনও তা ছাড়িনি।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাকিল খন্দকার জানান গরু- মহিষের চাষাবাদের পরিবর্তে কলের লাঙ্গলের চাষাবাদের ফলে উৎপাদন বেড়েছে।লাখাইয়ে বর্তমানে শতভাগ যান্ত্রিক চাষাবাদের আওতায় এসেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *