নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে নওয়াপাড়া পালপাড়ার বাসিন্দা ও নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ঐশ্বর্য (১৫)-এর মুখে ব্লেড বসিয়ে জখম ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে ছাত্রীর অভিভাবকদের মারধরের ঘটনার মুল আসামী বখাটে রোহান (২১) কে আটক করেছে অভয়নগর থানা পুলিশ।
আটক রোহান উপজেলার বুইকরা ড্রাইভারপাড়ার হায়দার আলীর ছেলে ।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় , রোহান দীর্ঘদিন যাবত ঐ ছাত্রীকে উক্তাক্তসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দুপুর অড়াইটার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে গরুহাটের সামনে আসলে রোহান তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি রাজী না হওয়ায় রোহান ক্ষিপ্ত হয়ে তার মুখে ব্লেড দিয়ে টান দিলে সে রক্তাক্ত ও জখম হয়। এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর আবারও রোহান তার সহোযোগিদের নিয়ে ঐ ছাত্রীর অভিভাবকদের মারধর করে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
আহত ঐ ছাত্রী জানায়, আমি আমার এক বান্ধবীর সাথে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রোহান এসে প্রথমে আমার হাত ধরে টান দেয়। এরপর সে চুল ধরে টান দেয়। আমি ছাড়িয়ে নিতে গেলে সে আমার ডান কানের নিচে ব্লেড দিয়ে টান দেয়। সে আরও জানায়, রোহান আমাকে দীর্ঘদিন ধরে উক্তাক্তসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সে আমাকে আহত করেছে। এদিকে বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় ও বখাটে রোহানের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।ফলে অভয়নগর থানা পুলিশের একটি টীম বখাটে রুহানকে গতকাল রাতে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আটক করে।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ঐশ্বর্যের গালে ব্লেড দিয়ে পোচ মারে রোহান। ঐশ্বর্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলে সেখানে রোহানের সাথে থাকা দুই তিনজন সহযোগী মিলে ঐশ্বর্যর ভাইকেও কিল-ঘুষি-লাথি মারে।
অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অভয়নগর থানা পুলিশ মুল আসামি রোহানকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন নির্যাতন দমন আইনের ১০ সহ দন্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৫০৬ ধারায় অভয়নগর থানায় আজ বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) মামলা হয়েছে। মামলা নং- ১।