বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে একটিতেও জিততে পারেননি ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল তারকা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। বগুড়া-৬ (সদর) আসনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে তিনি হেরেছেন ৮৩৪ ভোটে। হারের পর হিরো আলমের বিস্ফোরক মন্তব্য, তাকে স্যার ডাকতে হবে বলে হারানো হয়েছে।
হিরো আলমের কথায়, ‘কিছু কিছু শিক্ষিত লোক আমাকে মেনে নিতে চায় না। তারা ভাবে আমি পাস করলে দেশের সম্মান যাবে, অনেকের সম্মান যাবে। অফিসারদের লজ্জা যে, হিরো আলমকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হবে। এ জন্য আমাকে জিততে দেয়নি। আমাকে ফলাফল কারচুপির মাধ্যমে হারানো হয়েছে। এই ফলাফল আমি মানি না।’
বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে লড়েছিলেন হিরো আলম। বগুড়া সদরের আসনের আশা তিনি আগেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। বুধবার সারাদিন এই আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘোরার পর হিরো আলমের বক্তব্য ছিল, ‘সদরের (বগুড়া-৬ আসন) কেন্দ্র সব দখল হয়্যা গ্যাচে। ডিসি-এসপিক কয়্যাও কোনো কাম হচ্চে না। সদরের আশা সব শ্যাষ।’
তবে বগুড়া-৪ আসনে জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিলেন হিরো আলম। বুধবার বিকালে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন, ‘কাহালু-নন্দীগামের অনেক কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেকচি। ভোট খুব সুষ্ঠু হচ্চে। মাঠের অবস্থা খুবই ভালো। কাহালু-নন্দীগ্রামের নিশ্চিত এমপি হচ্চি।’তবে ভোট গণনা শেষে জানা যায়, হিরো আলম ৮৩৪ ভোটে হেরেছেন।
বুধবার রাত ৮টায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্বাচন অফিস সূত্রে বগুড়া-৪ সংসদীয় আসনভুক্ত দুই উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রের ফলাফল জানা যায়। সেখানে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।
এর আগে ২০১৮ সালেও বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন হিরো আলম। পেয়েছিলেন সিংহ প্রতীক। এবার লড়াই করে হারলেও সে বার বিএনপির প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কাছে হেরেছিলেন বড় ব্যবধানে। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও হয়েছিলেন। যদিও এবার কোনো হামলার স্বীকার হতে হয়নি স্বঘোষিত হিরো আশারাফুল আলমকে।
শেয়ার করুন